নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে পূর্ব বিরোধের জেরে সাংবাদিক মাকসুদ আলম(৪৯) এর হামলার ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার জয়াগ ইউনিয়নের আনন্দীপুর পশ্চিম পাড়া গোলাম আজমের দোকানের সামনে গত ১৫ এপ্রিল সোমবার রাত ৯ টার দিকে ডাকাতিসহ একাধিক মামলার আসামী ছোটনের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সোনাইমুড়ী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আহত মাকসুদ আলম জাতীয় দৈনিক নবচেতনার সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রতিনিধি ও
জানা গেছে, একই এলাকার হাসেম মাষ্টার বাড়ির আবদুল জব্বারের ছেলে ছোটন(২৮) ও পাটোয়ারী বাড়ির হাসান আহম্মদ লিটনের ছেলে শিমুল(৩৫) এর সাথে সাংবাদিক মাকসুদ আলমের পূর্ব শত্রুতা ছিলো। এর জের ধরে ঘটনার সময় ছোটনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে মাকসুদ আলমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনায় মাকসুদ আলম বাদি হয়ে ছোটন ও শিমুলকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিন্তু পুলিশ এখনো কোন আসামী গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ করেছেন সাংবাদিক মাকসুদ আলম।
সাংবাদিক মাকসুদ আলম জানান, তিনি ইউপি সদস্য থাকা কালে ডাকাতির ঘটনায় ছোটনকে পুলিশে ধরিয়ে দেন। এর পর থেকে ছোটন ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মাকসুদের উপর ক্ষিপ্ত ছিলো। এর জের ধরেই এই হামলা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন। মাকসুদ আলম আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সোনাইমুড়ী থানার ওসি বকতিয়ার চৌধুরী জানান, মাকসুদ আলমের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এটি মামলা হিসেবে নথিভূক্ত হবে। অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।