যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জের হরিহরনগর ইউনিয়নের মদনপুরে হাফেজাসহ ৩৪ জন হাফেজকে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। মদনপুর গ্রামবাসীর উদ্যোগে কামরুল হাসান ও জহিরুল ইসলাম তোতার আয়োজনে মদনপুর দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটা করা হয়। বুধবার সকাল সাড়ে নয়টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচী শেষে হরিহরনগর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড মদনপুর গ্রাম ও মহাতাপনগর গ্রামের ২ জন হাফেজা সহ ৩৪ জন হাফেজদেরকে ক্রেস্ট ও ফুল দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। একই সাথে হাফেজা ও হাফেজদের অভিভাবকদেরও ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়েছে। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আব্দুল জলিল, মদনপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ডক্টর শফিকুল ইসলাম, হরিহারনগর ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার জহুরুল ইসলাম, মদনপুর ডিগ্রী কলেজের সহকারী অধ্যাপক মাওলানা সেলিম জাহাঙ্গীর, সহকারী অধ্যাপক শফিয়ার রহমান, মদনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আখতারুজ্জামান, মদনপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল মান্নানসহ এলাকার গন্যমান্য সুধিজন। এদিকে অনুষ্ঠানে হাফেজ ও হাফেজা সংবর্ধনা অনুভুতি নিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন, এক হাফেজ এর অভিভাবক অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, ছেলেকে হাফেজ বানিয়ে যতটুকু সম্মান পেয়েছি, তার থেকে বেশি সম্মান ও আনন্দ পেয়েছি আজ। তিনি আরো বলেন, যারা উদ্যোগ নিয়ে আজ হাফেজদের সংবর্ধনা দিলো তারা যেন প্রতি বছর এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারে তার জন্য আমি শুকরিয়া আদায় করছি। বিষয়টি নিয়ে হাফেজ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজক জহিরুল ইসলাম তোতার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি মনে প্রানে কোরান হাফেজদের অত্যান্ত ভালোবাসী, শ্রদ্ধা করি, সম্মান করি। তাই আমি এবং আমার আর এক ভাই কামরুল দুজনে মিলে এই হাফেজ সংবর্ধনা অনষ্ঠানটি করলাম। যেন আগামী বছর আরো বড় পরিসরে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি করতে পারি তার জন্য সকলের কাছে দোয়া প্রার্থনা করছি। এদিকে দুপুরে ভুরিভোজসহ সকল কাজের সহযোগী ছিলেন, মদনপুর গ্রামের কামরুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, জিসান, হোসেন, সজিব হোসেন, নাঈম হোসেন, আল আমিন, সিহাব, আসিফ, সাকিব, ইমন প্রমুখ।