গাজীপুরের কালিয়াকৈরে উপজেলার সূএাপুর ইউনিয়নের উওর হিজলতলী গ্রামের মোঃআতিকুর রহমানের প্রতিবন্ধী মেয়ে আতিয়া রহমান (৪২)। জন্মের পর হতেই প্রতিবন্ধী। এই প্রতিবন্ধী মেয়ে সহ পিতা ও মাতা খুবই কষ্টে জীবন যাপন করছে। পিতা আতিকুর রহমান ইট ভাটায় লেবারের কাজ করে ও মা লাভলী আতিক গৃহিনী। বাড়িতে শুধু মাএ দুই শতাংশ জমিতে তাদের বসবাস। পিতার প্রতিবন্ধী মেয়েকে চিকিৎসার খরচ চালিয়ে দুই মোটো ভাত খাওয়াটা অনেক কষ্টের। প্রতিবন্ধী মেয়ে শুধু মাএ উপজেলা সমাজসেবা অফিস হতে সরকারী ভাতা পাই, প্রতিমাসে ৮৫০ টাকা করে, যা তিন মাস অন্তর অন্তর চার্জ সহ পাই ২৫৫০ টাকা। এছাড়া কোন ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কোন সাহায্য পায় না, এ অবস্থায় সংসার চালিয়ে প্রতিবন্ধী মেয়ের ঔষধের খরচ চালানো অনেক কষ্টের। যদি কোন সহানুভূতিশীল ব্যক্তি / সংগঠন, প্রতিবন্ধী মেয়ে ও পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করে তাহলে অনেকটা জীবন যাপনে করতে পারে পরিবারটি। কেই দয়া করে সহযোগিতা করতে চাইলে পরিবারটি বাঁচতে পারবে, আল- আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক কালিয়াকৈর শাখা, মিসেস লাভলী আতিক, একাউন্ট নং – ১৩৮১১২০০১০৫১৪। প্রতিবন্ধীর মা ও বাবা জানান, মেয়েকে নিয়ে খুবই কষ্টে আছি, খেয়ে না খেয়ে জীবন যাপন করছি। যদি কোন ব্যক্তি আমার প্রতিবন্ধী মেয়ে সহ আমার পরিবারকে সাহায্য করে তাহলে উপকৃত হতাম। সূএাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জানান, আমার ইউনিয়ন পরিষদে পক্ষ থেকে ১৫ টাকা কেজি চাউলের কাট করে দিতে পারব। অন্যকোন সহযোগিতা বর্তমানে নাই। তবে কালিয়াকৈরে অনেক ধনী লোক আছে, তারা ইচ্ছে করলেই প্রতিবন্ধী পরিবারকে সহযোগিতা করতে পারেন। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জনান, ইতিমধ্যেই তাকে সুবর্ণ নাগরিক পরিচয় পত্র প্রদান করা হয়েছে, এছাড়া প্রতি নিয়ত প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। ভাতা হিসেবে প্রতিমাসে উপজেলা সমাজসেবা অফিস হতে ৮৫০ টাকা খরচ সহ পাই। প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর ২৫৫০ টাকা করে। যদি কোন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তার পরিবার কোন ব্যাবসা ও দোকান করতে চাই তাহলে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত, সুদ মুক্ত ক্ষুদ্রঋণ দেওয়া যাবে।