যশোরের মণিরামপুরের বাজারে ভিটামিনযুক্ত ফলমুলের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। সোমবার রাজগঞ্জ বাজার ঘুরে বিভিন্ন ফুলমুলের দোকান মালিকের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৪০টাকা দরের মালটা এখন ২৫০ থেকে ২৬০টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ১৪০টাকার কমলা লেবু এখন ২০০ ও ৩০০টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে, আঙ্গুর ২২০ থেকে ২৫০টাকা কেজি, নাশপাতি প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩৫০টাকা, মানভেদে আপেল প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ৩০০টাকা, কালো আঙ্গুর প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০টাকা, পেয়ারা ৬০ থেকে ৭০টাকা কেজি, বেদানা ৩০০টাকা কেজি, খেজুর ১২০ থেকে ৮০০টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হচ্ছে ও ড্রাগনফল ৩০০টাকা থেকে ৪৫০টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। রাজগঞ্জ বাজারে ফল কিনতে আসা স্থানীয় এক ক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে ভিটামিনযুক্ত ফলমুলের আকাশ ছোঁয়া দাম। আর এই দামের কারণে অসুস্থ্য রোগীসহ সাধারন মানুষ ফলমুল খাওয়ার স্বাদ যেন হারিয়ে ফেলেছে। এসব ফল কিছুদিন আগেও কমদামে মানুষ খেয়ে মুখে স্বাদ পাওয়ার পাশাপাশি ক্ষুধাও মিটিয়েছে। আজ সেই সব ফলমুলের দাম চরম উর্ধ্বগতি হওয়ায় রোগী ও রোগীর স্বজনেরা চরম বিপাকে পড়েছে। অপর ক্রেতা রাজগঞ্জ কলেজপাড়া গ্রামের ইউসুফ আলী গাজী বলেন, বিদেশি ফলমুল এখন আর নাগালের মধ্যে নেই। তাই সামর্থ্যরে মধ্যে দেশি যেসব ফল রয়েছে সেইগুলোই কিনে খাচ্ছি। কারণ প্রতিনিয়তই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে যেয়ে সর্বশান্ত হতে হচ্ছে। তাই তিনি কমদামে দেশি ফল ক্রয় করেছেন। বাজারের ফল ব্যবসায়ী চাকলাদার শিমুল হোসেন বলেন, মানুষের বিবেক এখন হারিয়ে গেছে। মহামারি করোনার সময় মারাত্মক অসুস্থ্য রোগীরা এসকল ফলমুল খেয়েই কিন্তুু বেঁচে আছে। তখন কিন্তুু কোন ফলের দাম বাড়ানো হয়নি। অথচ এখন দেশে প্রচুর ফলমুল আমদানি করা হলেও দাম আকাশ ছোঁয়া। এর একমাত্র কারণ সিন্ডিকেট। পাইকারি ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা সিন্ডিকেট করেই ফলমুলের দাম দ্বিগুন করে দিয়েছে। আর এই দাম বৃদ্ধির কারণে ক্রেতারা ফলমুল কেনা কমিয়ে দিয়েছে। যার কারণে বিক্রিও অর্ধেক কমে গেছে বলে জানান এ ব্যবসায়ী। অপর ব্যবসায়ী সাজ্জাত হোসেন বলেন, আসছে রমজান মাস এই মাসে ভিটামিনযুক্ত ফলমুলের ব্যাপক চাহিদা থাকে। আর সুযোগ নিয়ে সব আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রমজানের আগেই সব ধরণের ফলমুলের দাম দ্বিগুন করেছে। তিনি আরো বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি হলেই প্রশাসন ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর নজরদারি করে থাকেন। কিন্তুু ফলমুলের দাম বাড়লেও কোন নজরদারি নেই। যে কারণে সব আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে রমজানের আগেই সব ধরণের ফলমুলের দাম দ্বিগুন করেছে। তবে মূল্যবৃদ্ধির কারণে এখন নিন্ম ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অনেকেই ফল খাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন আর কিনলেও কমিয়েছেন পরিমাণ বলে মনে করেন এ ব্যবসায়ী।