শুক্রবার (২৭শে জানুয়ারি) আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত “স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা; সমাধান কোন পথে?” শীর্ষক সমীক্ষা সম্মেলনে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আত্নহত্যার দিক থেকে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা।
আঁচল ফাউন্ডেশনের এ সমীক্ষায় দেশের বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টাল পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২২ সালে সর্বমোট স্কুল এবং কলেজ পর্যায়ের আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৪৪৬ জন। যার মধ্যে স্কুল ও সমমান পর্যায়ের শিক্ষার্থী রয়েছেন ৩৪০ জন। কলেজ ও সমমান পর্যায়ে ১০৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন এবং শুধুমাত্র মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫৪ জন। লিঙ্গভেদে নারী শিক্ষার্থী ২৮৫ জন এবং পুরুষ শিক্ষার্থী ১৬১ জন। স্কুল এবং কলেজ পড়ুয়া আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী রয়েছেন ৬৩.৯০ শতাংশ এবং পুরুষ রয়েছেন ৩৬.১ শতাংশ।
সারাদেশের মোট আটটি বিভাগে আত্মহত্যাকারী স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ঢাকা বিভাগে যা ২৩.৭৭ শতাংশ। এরপর রয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগ যা ১৭.২৭ শতাংশ এবং রাজশাহী বিভাগ যা ১৬.৮১ শতাংশ। এছাড়াও খুলনা বিভাগে ১৪.১৩ শতাংশ, রংপুরে ৮.৭৪ শতাংশ, বরিশালে ৮.৫৩ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৬.২৭ শতাংশ এবং সিলেটে ৪.৪৮ শতাংশ স্কুল ও কলেজ পড়ুয়া আত্মহত্যাকারী শিক্ষার্থী রয়েছেন।
এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৮৬ জন শিক্ষার্থী আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন।
আঁচল ফাউন্ডেশনের এ সমীক্ষা প্রতিবেদনে, স্কুল ও কলেজ শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার কারণ হিসেবে বিভিন্ন কারণ চিহ্নিত হয়েছে। যার মধ্যে আপত্তিকর ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়া, শিক্ষক কর্তৃক অপমানিত হওয়া, গেইম খেলতে বাঁধা দেয়া, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া, মোবাইল ফোন কিনে না দেয়া, মোটরসাইকেল কিনে না দেয়া। এছাড়াও অন্যান্য কারনের মধ্যে রয়েছে পরীক্ষায় অকৃতকার্য বা আশানুরূপ ফলাফল না পাওয়া, পড়াশোনার চাপ অনুভব করা এবং পারিবারিক চাপে আত্মহত্যা।
এ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক তাহমিনা ইসলাম (সমাজকর্ম বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়), শাহরিনা ফেরদৌস (ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট) এবং আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ।