সম্প্রতি ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আইনজীবী কর্তৃক বিচার কাজে বাধা ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১,ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার বিচারক মোহাম্মদ ফারুক এর এজলাস চলাকালীন সময়ে অনাকাঙ্খীত ভাবে আইনজীবী কর্তৃক অশ্রাব্য ও মানহানিকর ভাষা প্রয়োগ, অসৌজন্যমুলক আচরণ, আদালত অবমাননা, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও লাঞ্চনার ঘটনায় সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণের এক আলোচনাসভা ও ৭ দফা দাবী বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রতিবাদসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত সভায় ১২ জানুয়ারী পর্যন্ত কালো ব্যাজ ধারণসহ ৭ দফা প্রস্তাবনা বাস্তবায়নের দাবীতে প্রধান বিচারপতি, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, রেজিস্ট্রার জেনারেল,বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন, বার কাউন্সিল বরাবরে অনুলিপি প্রেরণ করার মধ্য দিয়ে ১০ জানুয়ারী-২৩ রোজ মঙ্গলবার সকালে সুনামগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত ভবনে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভীন এঁর সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় গৃহীত ৭ দফা প্রস্তাবনার মধ্যে (১) ঘটনার যথাযথ তদন্ত পূর্বক ফৌজদারী মামলা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ । (২) ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন,২০১৮ অনুযায়ী দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ। (৩) উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে ইস্যুকৃত কনটেম্পট রুলের শুনানীকালে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস এসোসিয়েশন কর্তৃক আইনজীবী নিয়োগ প্রদান। (৪) ইঅঘএখঅউঊঝঐ ইঅজ ঈঙটঘঈওখ ঈঅঘঙঘঝ ঙঋ চজঙঋঊঝঝওঙঘঅখ ঈঙঘউটঈঞ অঘউ ঊঞওছটঊঞঞঊ বিধিকে বর্তমান সময়োপযোগী করে প্রণয়ন এবং অনুসরণে বার কাউন্সিল কর্তৃক বাধ্যবাধকতা আরোপ করা এবং উক্ত নীতিমালা লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। (৫) জেলায় প্র্যাক্টিসরত আইনহজীবীদের মধ্যে আদালতের প্রতি অসৌজন্যমুলক আচরণ প্রদর্শনকারী ও বিচার কার্যে হস্তক্ষেপকারী আইনজীবী সম্পর্কে বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ কর্তৃক সচিব, বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক উক্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে দ্রুততার সাথে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ নিশ্চিত করা। (৬) প্রতি জেলায় বিচার বিভাগের সুনির্দিষ্ট তথ্যাদি উপস্থাপন ও প্রচারণার লক্ষ্যে মুখপাত্র হিসেবে একজন জনসংযোগ কর্মকর্তা (ফোকাল পারসন) নিয়োগ করা। (৭) বিচার বিভাগের সৎ,দক্ষ এবং যোগ্য একজন নারী বিজ্ঞ বিচারকসহ উল্লেখিত বিচারকদের প্রতি উক্ত ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামী ১২ জানুয়ারী-২০২৩খ্রি: পর্যন্ত সুনামগঞ্জ বিচার বিভাগের সকল বিচারক কর্তৃক কালো ব্যাজ ধারণ করা। এসময় উপস্থিত ছিলেন নারী ও শিশু নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) মো. জাকির হোসেন,চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ রোকন উদ্দিন কবির সহ জেলা জজ আদালত ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের সকল বিচারকবৃন্দ।
###