গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার হরিরামপুর দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শরিফুল ইসলামকে সোমবার বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় জনসাধারণ। মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বে বহিরাগত ও স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী ক্রোড়গাছা বি.এল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম গংদের সংঘবদ্ধ আক্রমণে প্রধান শিক্ষক মো. শরিফুল ইসলামকে লাঞ্ছিত করায় এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিদ্যালয়ের উপস্থিত ছাত্রীরা জানান, আমাদের বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা না করেই ১ জানুয়ারি বই উৎসবের দিন বিশৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করে কথিত সভাপতি বাচ্চা মিয়া সরকার ও কথিত ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষক তার স্ত্রী চামেলী বেগম। সেদিন আমাদের প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম সরকার ও একাডেমিক মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বই বিতরণ করে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে সোমবার আমাদের উপস্থিতিতেই সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের আত্মীয় স্বজন ও তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম স্যারকে মারপিট করে আহত করে। এ ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ কবির বলেন, মাননীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী একাধিক ব্যক্তিকে ডিও লেটার দেওয়ার পর থেকেই প্রতিষ্ঠানটিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। যার ফলশ্রুতি কথিত সভাপতি বা”চা মিয়া ও তার স্ত্রী চামেলী বেগমকে (প্রাথমিক বিদ্যালয় শাখার সহকারী শিক্ষক) অবৈধভাবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রতিষ্ঠান চালানোর চেষ্টা করছে। তারা পেশি শক্তি ব্যবহার করে সোমবার প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে। দ্রুত উদ্ভুত পরিস্থিতি নিরসন করে এবং ছাত্রী-শিক্ষকদের নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে প্রকৃত প্রধান শিক্ষকের দ্বারা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনার দাবি জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষের আগেই স্থানীয় সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মনোয়ার হোসেন চৌধুরী কর্তৃক স্থানীয় দুইজনকে তিনটি ডিও লেটার দেন। ফলে কমিটি গঠনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে আগের কমিটির সভাপতি আখতারুল ইসলাম এমপির ডিও লেটার চ্যালেঞ্জ করলে, মহামান্য হাইকোর্ট ১৬ জানুয়ারি ২০২২ স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যা চলমান থাকলেও ডিও লেটারধারী বা”চা মিয়া সরকার অবৈধভাবে দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ অ্যাডহক ও পরবর্তীতে ৬ জুন ২০২২ অবৈধ কমিটি গঠন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিধি-বিধান ভঙ্গ করে প্রাথমিক স্তরের শিক্ষক নিজ স্ত্রী চামেলী বেগমকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনার চেষ্টা করছে।
///