নতুন বছরের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন করেছেন ২৮ লাখ ৫১ হাজার করদাতা। যার বিপরীতে আয়কর এসেছে ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকা। যা গতবছরের তুলনায় অনেক বেশি। রাজস্ব আদায়ও প্রবৃদ্ধি হয়েছে।

সোমবার (২ জানুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, দেশে বর্তমানে ৮২ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) ব্যক্তি রয়েছেন। এবার রিটার্ন দাখিলের প্রবৃদ্ধির হার গত বছরের একই সময় হিসাবে ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আর রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

গত বছর একই সময় পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করেছিলেন ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৫ করদাতা। যার বিপরীতে আয়কর এসেছিল ৩ হাজার ২৮১ কোটি টাকা।

এনবিআর সূত্রে জানা যায়, এবার রিটার্ন দাখিলের প্রবৃদ্ধির হার গত বছরের একই সময় হিসাবে ২৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আর রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। গত বছর একই সময় পর্যন্ত রিটার্ন দাখিল করেছিলেন ২২ লাখ ৯৯ হাজার ৬২৫ করদাতা। যার বিপরীতে আয়কর এসেছিল ৩ হাজার ২৮১ কোটি টাকা।

এ বছর আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষদিন ছিল গত ৩০ নভেম্বর। তবে, ব্যবসায়ী ও করদাতাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ বিবেচনায় সময় ৩০ নভেম্বর থেকে এক মাস বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর ও ৩১ ডিসেম্বর সরকারি ছুটি হওয়ায় ১ জানুয়ারি পর্যন্ত রিটার্ন দাখিলের সময় পান করদাতারা।

করোনা মহামারি বিবেচনায় এ বছর আয়কর মেলা না হলেও এনবিআরের আওতাধীন সারাদেশে ৩১টি করাঞ্চলে মেলার মতো সেবা দেওয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে আয়কর অধ্যাদেশে পরিবর্তন এনে ৩০ নভেম্বর জাতীয় কর দিবসের পর রিটার্ন জমা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

যদিও গত দুই বছর করোনা মহামারির কারণে একমাস সময় বাড়ানো হয়েছে। এবার করদাতের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে দাবি বাড়ানো হয়েছে।