শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে ভূমিহীন পরিবারের বসত ভিটা রক্ষার দাবীতে রাস্তায় নেমেছে গ্রাম বাসীরা। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা নিজ মাওনা গ্রামে এলাকার বাসী মানব বন্ধন করে। এ সময় তারা দাবী করেন ওই গ্রামের লালে মোড়লের পরিবারকে শত বছরের ভোগ দখলে থাকা বসত ভিটা থেকে উচ্ছেদের পায়তারা চলছে। ভুক্তভোগী পরিবার হলো নিজ মাওনা গ্রামের প্রয়াত হাতেম আলী মোড়লের ছেলে লালে মোড়ল ও তার পরিবারবর্গ। স্থানীয়রা জানান প্রয়াতু হাতেম আলী মোড়ল গাজীপুর মৌজার সিএস ৮১৫নং দাগে প্রায় ৬ একর জমি ১৯৪২ সনে ভাওয়াল স্ট্রেট থেকে প্রত্তন নিয়ে সিএস রেকর্ডে মালিক হন। ওই জমিতে তাদের পরিবার বংশানুক্রমে প্রায় ১০০ বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছে। তাদের ভোগ দখলের জমি ভুলক্রমে ১নং খাস খতিয়ানে রেকর্ড ভুক্ত হয়। লালে মোড়লের স্ত্রী মাজেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন জনৈক শাহারা বেগম, নিলুফা ইয়াছমিন কথিত এক ভূমিহীনের নিকট থেকে ২০০২ সনে ২ একর জমি ক্রয় করেন। ওই ভূমিহীন কোন দিনেই নিজ মাওনা গ্রামে বাস করেনি। তার কোন অস্থিত নেই। শাহারা বেগম ওই ব্যক্তির নিকট থেকে জমি কেনার পর আমাদেরকে উচ্ছেদ করতে মিথ্যা মামলা সহ বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার, নির্যাতন করে আসছে। আমাদের বিরুদ্ধে ২০১০ সালে শ্রীপুর থানায় একটি মিথ্যা চাঁদা বাজির মামলা দায়ের করে। দীর্ঘ সময় পর আদালতে মামলাটি মিথ্যা প্রমানিত হলে আদালত আমাদেরকে মামলার দায় থেকে মুক্তি দেন। এছাড়া ২৫/০৪/২০০৫ তারিখে আমার বসত বাড়ীতে আগুন দিয়েও আমাদেরকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়। আমি থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর পুলিশ আমার মামলা নেয় নাই। শাহারা বেগমের মেয়ে শবনম মুস্তারী শ্রীপুর উপজেলার সাবেক সহকারী কমিশনার (ভূমি) বর্তমানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পরিচালকের পদে কর্মরত আছেন। মেয়ের প্রশাসনিক প্রভাব খাটিয়ে শাহারা বেগম আমাদেরকে সর্বশান্ত করে ফেলেছেন। গত ১২/০৯/২০২২ইং তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্রীপুর এর কার্যালয়ে একটি অভিযোগের শুনানিতে যাই। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্রীপুর এর সামনেই শাহারা বেগম তার লোকজন নিয়ে আমাদেরকে চরম ভাবে লাঞ্চিত করে। আমাদের কাগজ পত্র ছিনিয়ে নেওয়া হয়। আমার ছেলেকে অবরুদ্ধ করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। এর পর থেকে আমাদের বিভিন্ন ভাবে অব্যাহত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমার পরিবার পরিজন নিয়ে এখন নাওয়া খাওয়া ছেড়ে দিয়ে উৎভ্রান্তের মত ছুটছি। ভূমিহীন পরিবারের উপর হয়রানী, নির্যাতন বন্ধ করতে এলাকাবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।