নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মতবিনিময়ে অংশ নিতে বঙ্গভবনে প্রবেশ করেছে জাতীয় পার্টির আট সদস্যের প্রতিনিধি দল।
সোমবার বিকেল ৪টায় বঙ্গভবনে প্রথম দিনে মতবিনিময়ে অংশ নিতে আসে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)।
আগামী বুধবার বিকেল ৪টায় মতবিনিময়ে অংশ নেবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)।
জাপার আট সদস্যের প্রতিনিধিদল:
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, কো-চেয়ারম্যান ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, সালমা ইসলাম ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এবং সংসদের বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা।
বিকেল ৩টায় রাজধানীর কাকরাইলে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে জাপার প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনের উদ্দেশ্যে রওনা করেন।
কেউ কেউ এটিকে ‘সংলাপ’ বললেও রাষ্ট্রপতির দফতর থেকে জাপা ও জাসদকে আনুষ্ঠানিক যে আমন্ত্রণপত্র দেওয়া হয়েছে, তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার বিষয়টিকে ‘মতবিনিময়’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি। আগের দুইবারের মতো এবারও নতুন ইসি গঠনে আলোচনা করে পরামর্শ নেয়ার জন্য রাষ্ট্রপতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। দেশে ৩৯টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল থাকলেও গতকাল রোববার পর্যন্ত বঙ্গভবন থেকে আনুষ্ঠানিক চিঠি পেয়েছে কেবল জাপা ও জাসদ।
সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের নিয়োগকর্তা রাষ্ট্রপতি। ‘সার্চ কমিটি’র সুপারিশের মাধ্যমে বিগত দুটি নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। ঐ দুটি কমিশন নিয়োগের আগে রাষ্ট্রপতি দেশের সর্বোচ্চ আদালতের বর্তমান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে দুটি সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন। ঐ দুটি সার্চ কমিটির সুপারিশে গঠিত হয়েছিল রকিবউদ্দিন কমিশন ও নুরুল হুদা কমিশন।
সংবিধানের আলোকে ‘আইনের বিধানাবলি সাপেক্ষে’ নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছেন দেশের ৫৪ জন বিশিষ্ট নাগরিক। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলও নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধানের আলোকে আইন প্রণয়নের দাবি তুলেছে।