ব্যালেন্স ট্যাংক পূর্ণ না থাকায় নদীতে হেলে পড়ে ‘আমানত শাহ’ নামের রো রো ফেরিটি। এতে ফেরিতে থাকা ১৪টি কাভার্ডভ্যান, ১০-১২টি মোটরসাইকেল পানিতে পড়ে যায়।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা বিভাগের উপ পরিচালক তৃনমনি শর্মা এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার সময় পাটুরিয়া ফেরিঘাট সংলগ্ন নৌ পুলিশের একটি টিম অবস্থান করছিল। ওই টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন। বর্তমানে পাঁচজন ডুবুরি উদ্ধার অভিযানে অংশ নিচ্ছেন।
তৃনমনি শর্মা বলেন, ঢাকা থেকে দুটি ডুবুরি ইউনিট, একাধিক নৌ টিম ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছে। কোনো ধরনের হতাহত না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।
যানবাহনগুলো নদীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব যানবাহনের চালক-হেলপারসহ সহযোগীদের সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নিখোঁজের দাবি নিয়ে কেউ আসেননি আমাদের কাছে।
এর আগে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ার ৫ নম্বর ফেরিঘাট পন্টুনে নোঙর করার পর হেলে পড়ে শাহ আমানত ফেরি। এতে ২-৩ নামতে পারলেও বাকিগুলো পানিতে পড়ে যায়।
সকালে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন সুলতানা ফেরিতে ১৭ ট্রাক ও কয়েকটি মোটরসাইকেল ছিলো উল্লেখ করলেও ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা ফেরিতে ১৪টি কাভার্ডভ্যান ছিলো বলে জানান। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি বলেছেন উভয় কর্মকর্তা।