বিরামপুরে চরকাই রেঞ্জের অধীনে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে অবৈধ স মিল। সব স মিলে নেই কোন বৈধ লাইসেন্স। ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। সেই সঙ্গে উজার হচ্ছে বনের গাছ। সরকারও বঞ্চিত হচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব থেকে। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকির অভাবে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। চরকাই রেঞ্জের মধ্যে বিরামপুর, নবাবগঞ্জ, ঘোড়াঘাট ও হাকিমপুর চার উপজেলার ইউনিয়নের হাটবাজার ও প্রত্যন্ত এলাকায় সব মিলিয়ে ১২৩টি স মিল রয়েছে যার মধ্যে ১০২টি স মিলই অবৈধ। বেশিরভাগ স মিল বিভিন্ন হাটবাজার-সংলগ্ন ও বন বিভাগের নির্ধারিত এলাকায় এবং পৌর শহরের মধ্যে গড়ে উঠেছে। সরকারি অফিস আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ২০০ মিটারের মধ্যে এবং সরকারি বনভুমির সীমানা থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স মিল স্থাপন করা যাবে না । এছাড়া সকাল ৬টার আগে এবং সন্ধ্যা ৬টার পরে স মিল চালানো যাবে না। স মিল চালানোর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় নির্ধারিত ফি দিয়ে লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামুলক। অথচ বিরামপুর চরকাই রেঞ্জ এলাকায় স মিল চালানোর ক্ষেত্রে এ সব বিধিনিষেধ উপেক্ষা করা হয়েছে। নবাবগঞ্জ এলাকার স মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুর রহমান জানান, আমরা অবৈধভাবে স মিল চালাচ্ছি এবং আমাদের কোন প্রকার সমস্যা হয়নি। অবৈধ স মিল মালিক সানোয়ার হোসেন বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যবত অবৈধভাবে স মিল চালিয়ে যাচ্ছি । তবে কিছু কিছু সময় স্থানীয় বিট কর্মকর্তা কাছে সরকারি প্রোগামে জন্য আর্থিক চাঁদা দিতে হয়। বন ও পরিবেশ বিভাগের তদারকির অভাবে রাস্তার পাশে, আবাসিক, বানিজ্যিক ও বন বিভাগের আওতাধীন এলাকাতেও স্থাপিত হয়েছে স মিল। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন স্থানে রাস্তার পাশে কাঠের গুঁড়ি রাখা হচ্ছে। রাস্তার পাশে ও আবাসিক এলাকায় স মিলগুলো হওয়ায় সেখান থেকে কাঠের গুড়ো উড়ে এসে ঢুকে পড়ছে স্থানীয়দের ঘর-বাড়িতে ও পথচারীদের চোখে। চরকাই রেঞ্জ কর্মকর্তা নিশিকান্ত মালাকার বলেন, অবৈধ স মিল অনেকগুলো রয়েছে সেগুলোর বন্ধের জন্য আমরা কয়েকবার অভিযান চালিয়েছি এবং বেশ কিছু স মিল মালিকের বিরুদ্ধে মামলা চলমান। এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দিনাজপুর মোঃ বশিরুল আল-মামুন বলেন, খবু শীঘ্রয় জেলা প্রশাসক ও স্থনীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অবৈধ স মিল গুলো বন্ধের জন্য উচ্চেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।