যুক্তরাজ্যে শনাক্ত করোনার নতুন ধরন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। বিশ্বের ৩০টির বেশি দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। সবশেষ ভিয়েতনামে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। ভিয়েতনাম সরকার বলেছে, এক নারীর শরীরে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। তিনি সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফর করে দেশে ফেরেন। ভিয়েতনামে ফেরার পর থেকে তিনি কোয়ারেন্টিনে আছেন। তুরস্ক গত শুক্রবার প্রথম করোনার নতুন ধরনে ১৫ জন শনাক্ত হওয়ার কথা জানায়। শনাক্ত ব্যক্তিদের সবাই যুক্তরাজ্য থেকে সে দেশে ফেরেন। তুর্কি কর্তৃপক্ষ জানায়, শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। তাঁদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। এ অবস্থায় যুক্তরাজ্য থেকে প্রবেশের ক্ষেত্রে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তুরস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত তিনটি অঙ্গরাজ্যে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে। দেশটির জনস্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রে করোনার নতুন ধরন হয়তো ইতিমধ্যে ছড়িয়েছে। কিন্তু সীমিত জেনেটিক সিকোয়েন্সিংয়ের কারণে তা হয়তো শনাক্ত করা যায়নি। যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন প্রথম শনাক্ত হয়। দেশটিতে গত অক্টোবর থেকে করোনার নতুন ধরনের সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ধরনটি শনাক্তের পর গত মাসের মাঝামাঝি এ-সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে যুক্তরাজ্য। পরে যুক্তরাজ্যের বাইরে আরও অনেক দেশে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হয়। এই সংখ্যা এখন প্রায় ৩৩। যুক্তরাজ্যে করোনার নতুন ধরন শনাক্ত হওয়ার জেরে গত মাস থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে। এখন পর্যন্ত ৪০টির বেশি দেশ যুক্তরাজ্যের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনার নতুন ধরন আগের ধরনের তুলনায় দ্রুত ও বেশি ছড়ায়। বিজ্ঞানীদের বরাত দিয়ে যুক্তরাজ্য জানায়, করোনার আগের ধরনের তুলনায় নতুন ধরনের সংক্রমণ ক্ষমতা ৭০ শতাংশ বেশি।