জঙ্গিদেরকে স্বাভাবিক জীবনে এনে সমাজে পুনর্বাসিত করার জন্য একটি টিম গঠন করেছে র্যাব। ধর্মীয় নেতাসহ সমাজের সকল স্তরের অংশগ্রহণ রয়েছে এই দলে। একই সঙ্গে স্বাভাবিক জীবনে ফেরত এসে যেন সমাজ পুনর্গঠনে অবদান রাখতে পারে সে বিষয়েও কাজ করবে র্যাবের দলটি। রবিবার বিকালে র্যাব সদর দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার। জঙ্গিদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে একটা রূপরেখার ছকে আনার চেষ্টা চলছে জানিয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার বলেন, যখন কেউ উগ্র-মৌলবাদ বা সন্ত্রাসবাদে জড়ায় তখন তাদের ফেরাতে সবার সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। তবে র্যাব তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে সহযোগিতা প্রক্রিয়া শুরু করেছে। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে উগ্রবাদকে উসকে দিয়ে সমাজের বিশেষ মহলটি রাজনৈতিকভাবে ফায়দা লুটারও চেষ্টা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা যেন জঙ্গিবাদের বিষ বাষ্প কোনোভাবেই না ছড়াতে পারে সে বিষয়ে কড়া নজরদারি আছে।যারা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গিয়েছে সেখানেও তাদেরকে সংশোধনে সহযোগিতা করতে হবে জানিয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, কারাগার হলো এক ধরনের সংশোধনাগার। তাই কেউ যদি কারাগার থেকে সংশোধন হয়, তাকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে সহযোগিতা করতে হবে। আবার কেউ যদি জঙ্গিবাদ থেকে ফিরে স্বাভাবিক জীবনে আসতে চায় তাদেরও সহযোগিতা করতে হবে। অনেকে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করলেও সমাজ তাদেরকে ভালোভাবে মেনে নেয় না এমন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র্যাব (এডিজি) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারওয়ার বলেন, এটা একটা সমস্যা। শুধু সমাজ নয়, আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে স্ত্রী সন্তানরাও অনেক সময় তাদেরকে মেনে নিতে পারে না। তবে এর থেকে বের হওয়ার অনেক উপায় আছে। তাদেরকে ঘৃণার চোখে না দেখে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সহযোগিতা করতে হবে সমাজের সবাইকে। তাদেরকে চাকরি, ব্যবসা বা যেকোনো কর্ম করে জীবন চলার সুযোগ করে দিতে হবে। বিশেষ করে যারা জঙ্গিবাদসহ চরমপন্থায় জড়িয়ে পড়ে তাদের মানসিকতায় অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। সবার সহযোগিতা পেলে তারা স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে। সমাজ থেকে জঙ্গিবাদ তাড়াতে ফেসবুকে ওয়াজ মাহফিলের নামেও যারা সাম্প্রদায়িকতার বিষ বাষ্প ছড়াচ্ছে, তা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে জানতে চাইলে র্যাবের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এমন আরো অনেক কারণে জঙ্গিদের উসকানি দেওয়া হচ্ছে। এটা সমূলে উৎপাটনের চেষ্টা চলছে। যারা ধর্ম প্রচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদেরকেও জঙ্গিবাদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে হবে।