আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।মঙ্গলবার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, ভারতে তিনটি কোম্পানি ভ্যাকসিনের দ্রুত অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছে। এগুলো হলো: অ্যাস্ট্রেজেনেকার ভ্যাকসিন উৎপাদনের লাইসেন্স নেওয়া সিরাম ইন্সটিটিউট অব ইন্ডিয়া, ফাইজার ইনকর্পোরেশন ও ভারতীয় ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ভারত বায়োটেক।দেশটির স্বাস্থ্য সচিব রাজেস ভূষণ বলেন, ‘এর মধ্যে কিছু কোম্পানি পরবর্তী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই অনুমোদন পেতে পারে।’
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে তিন ধরনের ব্যক্তিরা অগ্রাধিকার পাবেন। এরা হলেন- স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিত এক কোটি স্বাস্থ্যকর্মী, সম্মুখ সারির দুই কোটি কর্মী যেমন পুলিশ ও সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এবং আরও ২৭ কোটি জনগোষ্ঠী যাদের বয়স পঞ্চাশের বেশি অথবা যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবার ফলে করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে আছেন।
আগামী বছরের আগস্টের মধ্যে এদেরকে ভ্যাকসিন প্রদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে রাজেস ভূষণ আরও বলেন, ভারত তাদের টিকাদান কর্মসূচির ওপর ভরসা রাখে, যা বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকাদান কর্মসূচির একটি। প্রতিবছর ভারতে ২ কোটি ৬ লাখ নবজাতক এবং ৩ কোটি গর্ভবতী নারীকে মোট ৩০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ প্রদান করা হয়।তবে ভ্যাকসিন প্রদানের ক্ষেত্রে ভারতে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। করোনা মহামারির আগেও ভারতে শিশুদের ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচি পুরোপুরি ঠিকঠাক ছিল না। বিশেষত আদিবাসী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে মাত্র ৫৬ শতাংশ নবজাতককে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হতো।করোনাভাইরাসের টিকাদান কর্মসূচির ফলে চলমান টিকাদান কর্মসূচি যেন ব্যাহত না হয় সেটিও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। এছাড়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে দেয়া হবে বলে এর জন্য শিশু বিশেষজ্ঞদের বদলে আলাদা স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন হবে বলেও জানান তারা।