মাগুরায় নিবন্ধন না থাকাসহ নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ৭টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টিক সেন্টার বন্ধ করে দিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। স্বাস্থ্য সেবার নামে যত্রতত্র ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এ সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নজরদারিতে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করছেন সংশ্লিষ্ট মহলসহ সাধারন সকলে। মাগুরায় সরকারি নিবন্ধন না থাকাসহ নানা অব্যবস্থাপনার অভিযোগে ৭টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনিস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষনা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার শহরে বিভিন্ন স্থানে পরিচালিত অভিযানে বন্ধ ওই প্রতিষ্ঠন গুলো হচ্ছে মাগুরা শহরের ভায়না টিটিডিসি পাড়ার নিউ একতা ক্লিনিক, শহরের হাজী আব্দুল হামিদ সড়কের মা প্রাইভেট হাসপাতাল, মাগুরা কিংস্ প্রাইভেট হাসপাতাল, মাগুরা কুইন্স ডায়াগনষ্টিক সেন্টার, শহরের হাসপাতাল পাড়ার গ্রামীণ ডায়গনষ্টিক সেন্টার, দি ল্যাবস্ক্যান মেডিকেল সার্ভিসেস, পিটিআই সড়কের দেশ প্রাইভেট হাসপাতাল। মাগুরার সিভিল সার্জন ডাক্তার প্রদীপ কুমার সাহা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর হতে স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযান চলাকালে এসব ক্লিনিক ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারে কোন সরকারি নিবন্ধন পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, নার্সসহ যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কিছুই নেই। এসব কারণে ওই প্রতিষ্ঠানগুলি আজ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। মাগুরায় মানহীন এ ধরনের প্রতিষ্ঠান গুলি দির্ঘদিন যাবৎ কোন নিয়ম নিতির তোয়াক্কা না করেই স্বাস্থ্য সেবার নামে চরম অব্যাবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে। যার প্রেক্ষিতে মাগুরার মানুষের জন্য চিকিৎসা সেবা নিতে এসে রোগী মৃৃৃত্যুর ঘটনাসহ ভোগান্তির শিকার যেন নিত্যনৈমিত্তিকের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সকল বিষয়ে তদারকির অভাবসহ স্বাস্থ্য বিভাগের উদাসিনতার অভিযোগ খোদ বেসরকারি ক্লিনিক ব্যাবসায়ী এ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট মহলে। অবশেষে দেরিতে হোলেও এ সকল প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য বিভাগ ব্যাবস্থা নিতে মাঠে নামায় কিছুটা হোলেও স্বস্তি ফিরেছে জনমনে। চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টরাও এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহনকে স্বাগত জানিয়ে মাঠ পর্যায়ে ধারাবাহিক তদারকির জন্য মত প্রকাশ করছেন। মাগুরা বেসরকারি ক্লিনিক ব্যাবসায়ী এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মিরাজ আহম্মদ জানান, চিকিৎসা ব্যাবস্থার উন্নয়ন ও সঠিক স্বাস্থ্য সেবা প্রদান নিশ্চিত কারনে গুরুত্ব দিয়ে আসছে তারাও। সরকারি বিধিমতে উন্নত চিকিৎসা সামগ্রীসহ মানসম্মত সেবা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠান মালিকদের আহবান জানাচ্ছেন তারা। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা ভুঁইফোড় প্রতিষ্ঠানগুলির অব্যাবস্থাপনার জন্য মানসম্মত প্রতিষ্ঠান মালিকরাও হচ্ছেন ক্ষতিগ্রস্ত। এ সকল বিষয় অবহিত করে ব্যাবস্থা নিতে স্বাস্থ্য বিভাগে একাধিক লিখিত অবেদনও দিয়েছেন তারা। সংগঠনের সাধারন সম্পাদক খন্দকার ফরহাদ বলেন, মাগুরা সদর হতে মাঠ পর্যায়ে শালিখা, আড়পাড়া, শ্রিপুরসহ উপজেলা পর্যায়ে এই পরিস্থিতি আরও নাজুক। জেলার স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নয়নে জেলা জুড়েই এই তদারকির ধারাবাহিকতা রক্ষা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।