বগুড়ার আদমদীঘিতে পুকুরের পাড় ভেঙে বিদ্যালয় ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কা, বড় ধরনের প্রাণহানি ঘটতে পারে। আদমদীঘির কাঞ্চনপুর সরকারী প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়ের পিছনে পুকুর পাড় না রাখার কারণে পুকুরের মাটি ধসে ভবনটি হুমকির মুখে পড়েছে। যে কোন মুহূর্তে হেলে ভেঙে পড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রাণহানির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বার বার তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও পুকুর মালিক পাড়ে মাটি ভরাটসহ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না বলে দাবি স্থানীয়দের। তারা জানান, আদমদীঘির চাঁপাপুর ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর স্থানীয় শিক্ষানুরীগদের প্রচেষ্টায় কালিবাড়ি পুকুরের দক্ষিণ পাশে টিনের বেড়া দিয়ে সরকারী প্রাথমিক বালিকা বিদ্যালয়টি ১৯৩১ সালে স্থাপিত হয়। শিক্ষার মান ভাল হওয়ায় ১৯৯৮ সালে সে সময়ের মন্ত্রী মরহুম আব্দুল জলিল নতুন দ্বিতল ভবন উদ্বোধন করে। সে সময় ভবনের পেছনের কালি বাড়ি পুকুরের পাড় থাকলেও পুকুরে মাছ চাষ করার কারণে ক্রমেই পুকুর পাড় ভেঙে বিদ্যালয়ের পিছনের অংশ ও পশ্চিম দিকের বুড়াকালি মন্দিরের জায়গা পুকুরের সাথে বিলীন হতে চলেছে। এরপরও পুকুর মালিক আনিকুল সরকারকে বার বার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও তার ওই পুকুরের পাড় বেঁেধ বিদ্যালয় ও বুড়াকালি মন্দিরসহ আশেপাশে স্থাপনা রক্ষায় কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান। ফলে বিদ্যালয় ভবন রক্ষা হুমকির মুখে পড়েছে। কাঞ্চনপুর গ্রামের সমাজ সেবক শ্যামল মহন্ত, ইউপি সদস্য অলোক মহন্ত জানান, অত্র ঝাকইর রাজবাড়ির রাজা শশীকান্ত সে সময় জনসাধারণের ব্যবহার্য ১ একর ৫৩ শতকের কালিবাড়ি স্কুল পুকুরটি খনন করেন। পরে বিনিময় সূত্রে আনিকুল সরকার পুকুরটির মালিকানা লাভ করে ওই পুকুরে মাছ চাষ করছেন। পুকুর মালিক আনিকুল সরকার বলেন পুকুরের পাড় রাখা প্রয়োজন কিন্তুু আর্থিক কারণে দেরি হচ্ছে। বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা শামীম আরা বেগম জানান, পুকুরের পাড় বাঁধতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত জানানোর পর উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম খান রাজু ও প্রকৌশলী সাজেদুর রহমান সরজমিনে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।