প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জলাবদ্ধতা কাটিয়ে ময়মনসিংহের তারাকান্দায় চলতি আমন মৌসুমে বাম্পার ফলনের আশা করছে তারাকান্দা কৃষি। অফিস তারাকান্দা উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্যমতে, এ বছর আমন মৌসুমে ২১ হাজার ৮ শত ৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও কিছুটা কমে ২১ হাজার ৭শত ২৫ হেক্টর জমিতে আমনধানের চাষ হয়েছে। এক্ষেত্রে ধানের প্রজাতিভেদে হাইব্রিড জাতের ধান চাষ হয়েছে ৫শত ৫হেক্টর, উন্নত ফলনশীল জাতের ধান চাষ হয়েছে ১৬ হাজার ৫০ হেক্টর এবং দেশী জাতের ধান চাষ হয়েছে ৫ হাজার ১শত ৭০ হেক্টর জমিতে। যাতে উৎপাদন লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ৫৬ হাজার ৩শত ৫ দশমিক ৯৫মে:টন। এ বছর উচ্চ ফলনশীল জাতের ধানের মধ্যে অধিকহারে চাষাবাদ হয়েছে এমন কয়েকটি জাত হলো ব্রিধান-৩২, ৩৪, ৩৯, ৪১, ৪৯, ৫১, ৫২, ৪৬, ৭১ বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষনা ইনষ্টিটিউট(বীনা) কর্তৃক উদ্ভাবিত ধানের মধ্যে আছে বীনাধান- ৭, ১১, ১৬,১৭, ২০ ইত্যাদি।দেশী জাতের মধ্যে আছে- কালোজিরা, লালকুমরি,জিরামালা, রণজিত, হরি, চিনিশাইল, মাধবীলতা, তুলসীমালা, হাসেমইরি জাতের ধান। কৃষি অফিসের লক্ষমাত্রা অর্জিত হবার সম্ভাবনাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এমন অনেক নিয়ামক বিদ্যমান তারাকান্দার কৃষিতে।কৃষি অফিস বলছে দিনদিন চাষযোগ্য জমি কমছে তারাকান্দায়। জলাবদ্ধতার কারণে আমনধান রোপন সম্ভব হয়নি অনেক জমিতে। অপরিকল্পিত ভাবে মৎস্য চাষের জন্য ফিসারী খননের ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারনে পতিত আছে অনেক জমি।ইটভাটা, ছোটছোট কলকারখানা সহ অন্যান্য স্থাপনা।এ বিষয়ে উপজেলার ৬নংঢাকুয়া ইউনিয়ানের নিতারাশি গ্রামের কৃষক আফতাব উদ্দিন দৈনিক নবচেতনার প্রতিবেদক জানান, অতিবৃষ্টির কারণে শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছি, জলাবদ্ধতার কারনে অনেক জমি এখনও পতিত। তারপর আগাম জাতের কিছুধান গত কয়েক দিনের নিম্নচাপে মাটিতে বিছিয়ে গেছে। এগুলোতে মনে হয় আশানুরোপ ফলন হবেনা। তথাপি যদি আমন ফসল ঘরে তুলতে পারি তবেই হয়।ইতি মধ্যে তারাকান্দাব্যাপী জলাবদ্ধতা নিরসনে গুরুত্বপূর্ন অবদান রেখেছেন তারাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস। সরকারি রাস্তা থেকে ফিসারির পাড় সরিয়ে নিতে দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।