আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে বিচার বিভাগকে অবরুদ্ধ করা হয়েছিল। জাতির জনকের হত্যার পর মামলাও করতে দেয়া হয়নি। ইনডেমনিটি আইন করে আইনকে কুলশিত করা হয়েছিল। আওয়ামীলীগ সরকারে এসে এ কালো আইন বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচারের ব্যবস্হা করা হয়। আমি আনন্দিত মুন্সীগঞ্জ চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবন উদ্বোধন করতে পেরে। ইচ্ছা ছিল মুন্সীগঞ্জ যেয়ে উদ্বোধন করার করোনা ভাইরাসের জন্য তা সম্ভব হলো না। সরকার বিচারকদের জন্য জুডিশিয়াল একাডেমি মাদারীপুরের শিবচরে নির্মাণ করছে। মুন্সীগঞ্জ বার কাউন্সিলের জন্য জমিও ভবন নির্মাণে সহযোগিতা করবেন বলে জানান। তিনি রোববার বেলা ১১ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনের উদ্বোধন কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা গুলো বলেন। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ হোসনে আরা বেগমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো আলোচনায় অংশ নেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মোঃ জাকির হোসেন,চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমান,, মুন্সীগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মৃণালকান্তি দাস, আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.গোলাম সারওয়ার, গণপূর্ত বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন আহাম্মদ, মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো.মনিরুজ্জামান তালুকদার, পুলিশ সুপার আব্দুল মোমেন, পৌরসভা মেয়র হাজী মোঃ ফয়সাল বিপ্লব,মুন্সীগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জাকারিয়া মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহিন মো. আমান উল্লাহ্, পিপি আব্দুল মতিন,জিপি লুৎফর রহমান ও স্পেশাল পিপি এ্যাডভোকেট লাবলু মোল্লা,টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়শনের সভাপতি সুজন হায়দার জনি ও সাধারণ সম্পাদক এডঃ সেতু ইসলাম, মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মীর নাসির উদ্দিন উজ্জ্বলসহ জেলা জজকোর্টের সকল বিচারক ও আইনজীবীগন। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন চীফজুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া রহমান। সভার শুরুতে কোরআন তেলোয়াত, গীতাপাঠ, ত্রিপিটক ও বাইবেল পাঠ করা হয়। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে আইনমন্ত্রী মুন্সীগঞ্জের আটতলা চীফজুডিশিয়াল ভবন উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনকালে দেশ-জাতি, বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রীর ও এ্যাটর্নী জেনারেল মাহবুবে আলম জন্য মোনাজাত করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মুফতি মো. আসাদুল্লাহ্। আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধিনে, স্থাপত্য অধিদপ্তরের পরিকল্পনায় গণপূর্ত অধিদপ্তর কাজটি বাস্তবায়ন করেন।