নরসিংদীতে আদালতের বেঞ্চ সহকারী পেসকারের সাক্ষর ও সিল জাল করে মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে বাচাঁতে ভুয়া রিকলের ঘটনায় জড়িত কোর্টে কর্মরত টেনুগ্রাফার সহ দুইজনকে গ্রেফতার করেছে নরসিংদীর থানা পুলিশ। (৩১আগস্ট)অভিযুক্ত নরসিংদী আদালতে কর্মরত টেনু গ্রাফর মিঠুন চন্দ্র শীল ও সাজা প্রাপ্ত আসামী আফাজ উদ্দিনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শামীমা আক্তার মিঠুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১০/১২/২০১৭ ইং তারিখে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আদালত রায়পুরা সি,আর,৩৩৬/২০১৬ ইং টি,আর ১৩১/১৭ইং মামলায় আসামী নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার তোতা মিয়ার ছেলে আফাজ উদ্দিনকে আদালত ৬ মাসের সাজা ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে সাজা পরোয়ারানা রায়পুরা থানায় প্রেরন করে আদালত।অত্র আদালত থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামীর কোন সময়ই উক্ত সাজার রিকল করা হয়নি। অথছ অত্র আদালতের ডেসপাসের মাধ্যমে সাজা পরোয়ানার রিকল হয়ে আদালতে ফেরত আসলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ১ম আদালতের বেঞ্চ সহকারীর অর্থাৎ সাখাওয়াত হোসেনের স্বাক্ষর সীল না হওয়ায়, বেঞ্চ সহকারী (পেসকার) শাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে যাহার নং ১১(৮)২০২০ ইং উক্ত মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী আফাজ উদ্দিন ১৬৪ ধারার জবানবন্দীতে আদালতে কর্মরত টেনু গ্রাফার মিঠুন চন্দ্র শীল এর নাম আসায় তাকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে থানা পুলিশ।আসামির নাম যুক্ত করে একটি ভুয়া রিকল তৈরি করে রায়পুরা থানায় পাঠান। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে বেঞ্চ সহকারী(পেসকার) শাখাওয়াত হোসেন বাদী হয়ে নরসিংদী সদর থানায় একটি প্রতারণার মামলা দায়ের করেন।তদন্তকালে প্রতারক আদালতে কর্মরত টেনু গ্রাফার মিঠুন চন্দ্র শীলকে (২৬ আগস্ট) গ্রেফতার করে পুলিশ।পরে তাকে রিমান্ড শেষে আদালতে প্রেরন করলে বিচারক শুনানি শেষে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। আসামীদের বিরুদ্ধে চুড়ান্ত রির্পোটে জমা দেওয়ার জন্য আগামী ২৯ সেপ্টম্বর দার্য করে আদালত।