জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের নতুন বই প্রকাশিত হয়েছে। অন্যপ্রকাশ এই গবেষণাধর্মী বইটি প্রকাশ করে। বৃহস্পতিবার রাতে নতুন বইয়ের পাঠ উন্মোচন নিয়ে ভার্চুয়াল প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. রওনক জাহান। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ। আলোচক হিসেবে উপ¯ি’ত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. আতিউর রহমান, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ প্রফেসর সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. রওনক জাহান বলেন, “আমার সরাসরি ছাত্র প্রফেসর হারুন। অনেক ছাত্রই বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলেছেন। তবে আমার কাছে অবাক লাগে কীভাবে প্রফেসর হারুন দুইটি দিক সমানভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বৃহৎ একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তাকে প্রশাসন সামলাতে হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি ব্যাপকভাবে গবেষণাও চালিয়ে যাচ্ছেন। সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, ‘বইটি আমি পড়েছি। ইতিহাস ব্যাকগ্রাউন্ডের একজন মানুষ হিসেবে আমি বলবো বইটিতে ঐতিহাসিক বিষয়াবলী সাবলীলভাবে স্থান পেয়েছে। প্রফেসর হারুন প্রচন্ড চাপের মধ্যেও গবেষণা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।” ‘৭ই মার্চ থেকে স্বাধীনতা’ শীর্ষক বইয়ের লেখক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হাররুন-অর-রশিদ বলেন, “বইটির প্রকাশনা উৎসবে আমার আসলে বিশেষ কিছু বলার নেই। কারণ বইটি আমি যেভাবেই হোক লিখেছি। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষকরা যদি বইটি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন কী লিখেছি। এটি তারাই মূল্যায়ন করবেন। তবে লেখার ক্ষেত্রে আমি মৌলিক কিছু বিষয় মেনে চলি। এই বইটির বেলায়ও তার প্রতিফলন ঘটেছে।” বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান বলেন, “বইটিতে ৭ই মার্চের যে বহু মাত্রিকতা সেটি উঠে এসেছে। ভাষণটি যে আকস্মিক ছিল না৷ এর পেছনে ছিল বাঙালির হাজার বছরের আশা আকাঙ্খা। সেই আশা আকাঙ্খার মুক্তি ঘটেছে ৭ই মার্চ। অত্যন্ত ব¯‘নিষ্ঠভাবেই লেখক এটি তুলে ধরেছেন।” কথাশিল্পী সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, “৭ই মার্চ থেকে স্বাধীনতা- বইয়ের লেখক প্রফেসর হারুন একজন জ্ঞান সাধক। তিনি যেকোন কাজ অত্যন্ত নিষ্ঠা নিয়ে করেন যাতে কোন ফাঁক না থাকে। তিনি যখন গবেষণা করেন তখন গবেষণালব্ধ তথ্য ঝালিয়ে নেন। তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই করেন। এ কারণে তিনি যে বই লিখেন সেটি মৌলিক আকর গ্রš’ হিসেবে রূপ নেয়। ছাত্র- ছাত্রীরাও পাঠ্যবই হিসেবে বইগুলোকে কাজে লাগাতে পারে। একই সঙ্গে যারা গবেষণা করেন তাদের কাছেও বইগুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে।”