রামগঞ্জে ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ খাল দখল হয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে গেছে। ভরা বর্ষা মৌসুমে পানি প্রবাহ না থাকায় খাল কচুরিপানায় ভরে গেছে ও পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এছাড়া রামগঞ্জ ও সোনাপুর বাজারের ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা খালেই ফেলছেন। এ কারণে কৃষি ও গৃহস্থালির কাজে খালের পানি ব্যবহার করতে না পারায় খালের দু’পাড়ের মানুষ দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। দূষিত পানির কারণে ঘরে ঘরে চর্মরোগ দেখা দিয়েছে। সচেতনমহল খাল থেকে কচুরিপানা ও ময়লা নিরসনের জন্য পৌর পরিষদের কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার তাগিদ দিলেও কর্তৃপক্ষ নিরসনের কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না। সাধারণ মানুষকে বাঁচানোর জন্য অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও আবর্জনা নিরসন জরুরী হয়ে পড়েছে। জানা যায়, রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ ডাকাতিয়া নদী সংযোগ প্রধান খাল, রামগঞ্জ-লক্ষীপুর, সোনাইমুড়ি ও রামগঞ্জ-চাঁদপুর ওয়াপদা খাল কচুরিপানায় পরিপূর্ণ হয়ে এখন উপজেলাবাসীর দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কচুরিপানায় পূর্ণ হওয়ায় পানি ব্যবহার করতে না পারায় খালগুলোর দুপাশের লক্ষাধিক বাসিন্দা দিশাহার হয়ে পড়েছেন। পানি দূষিত হয়ে নানা ধরণের পানিবাহিত রোগ ছড়াচ্ছে। জানা গেছে, নব্বই দশকের দিকেও পানি প্রবাহিত রামগঞ্জ-হাজীগঞ্জ ডাকাতিয়া নদীর সংযোগ প্রধান খাল দিয়ে লঞ্চ, মালবাহী বড় বড় নৌকা চলাচল করত। শাখা খালগুলোর মাধ্যমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের মানুষ ছোট ছোট নৌকা দিয়ে যাতায়াত করত। এ খালের অভ্যন্তরে পানি প্রবেশ করায় কৃষক বিনা সেচে কৃষি চাষাবাদ করতেন। ২০০০ সাল থেকে কচুরিপানায় খালগুলোকে গ্রাস করায় ছোট ছোট নৌকাও চলাচল করতে পারছে না। শাখা খালগুলো ভরাট করায় চাষাবাদের জমিতে পানি প্রবেশ করতে পারে না। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৭টি ইউনিয়নের খালগুলো সংস্কার না করায় ১১ হাজার ৩০০ হেক্টর ফসলি জমিতে জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। রামগঞ্জ উপজেলার বাজারগুলোতে ডাস্টবিন না থাকায় বাজারে ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত ময়লা আবর্জনা খালেই ফেলছেন।
চা আবর্জনার দুর্গন্ধের কারণে এলাকায় মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে রামগঞ্জের সচেতন মহল খাল থেকে কচুরিপানা ও ময়লা আবর্জনা নিরসনের জন্য পৌর ও উপজেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার তাগিদ দিলেও কর্তৃপক্ষ পরিষ্কারের উদ্যোগ না নেয়ায় উপজেলাবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে।