![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
গাইবান্ধা জেলা জুড়ে জমে উঠছে কুরবানির পশুরহাট। হাটে পর্যাপ্ত পরিমাণে দেশি গরু-ছাগল উঠতে শুরু করেছে তবে বেচাকেনা কম। জেলার ৭ উপজেলায় এবার ৪১ স্থানে কুরবানির পশু কেনাবেচার হাট বসার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি স্থায়ী ও ১৫টি অস্থায়ী হাট রয়েছে। কোরবানি পশুর হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য কাজ করছে ২১টি মেডিকেল টিম। এছাড়া ৭টি অনলাইন প্ল্যাটফর্মেও পশু কেনা-বেচা হচ্ছে। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, জেলায় ১ লাখ ২৩ হাজার ৫১টি কুরবানি পশুর চাহিদার বিপরীতে ২২ হাজার ৩৩০টি পশু বেশি রয়েছে। যা দেশের বিভিন্ন জায়গা কুরবানি পশুর চাহিদা পূরণে সহায়ক ভুমিকা রাখবে। জেলার ১৬ হাজার ৭৫৯ জন কৃষক ও খামারির কাছে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮১টি কুরবানি যোগ্য পশু মজুত রয়েছে। এরমধ্যে গরু ৬৩ হাজার ২৪৬টি, মহিষ ১৪৭টি ও ছাগল-ভেড়া ৮১ হাজার ৯৮৮টি। সরেজমিনে পশুরহাট ঘুরে দেখা গেছে, জেলার ১৬৫টি চর এলাকাসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে ট্রাক, নসিমন, ভটভটিসহ নানা রকম যানবাহনে হাটে কুরবানির পশু নিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা। হাটে আগত গরুর বেশির ভাগই দেশি। হাটে কুরবানির পশু দিয়ে ভরে গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, হাটে ক্রেতারা আসছেন। কিন্তু দাম জিজ্ঞাসা করেই তারা চলে যাচ্ছেন। এ বছর ক্রেতাদের অনেকে বাজারে পশুর দরদাম যাচাই করে দেখছেন। তবে অনেকে পশু কিনতে হাটে এসেছেন। আবার কেউ পশু কিনে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন। এবার অধিকাংশ ক্রেতা খুঁজছেন মাঝারি আকারের গরু। হাটে আসা এসব গরু ৮০ থেকে এক লাখ ৬০ হাজার টাকা দাম হাঁকা হচ্ছে। তবে পশুরহাটে এবার ভারতীয় গরু না থাকায় দেশি গরুর চাহিদা ও দামও কিছুটা বেড়েছে। ক্রেতারা দাম বাড়ার কথা বললেও ভিন্ন কথা বলছে পশু বিক্রেতারা।
গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহফুজার রহমান বলেন, গরুকে দানাদার খাদ্য ও কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর জন্য খামারিদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি ভিটামিন খাওয়াতেও বলা হচ্ছে। তবে, গরুকে নিষিদ্ধ কোনো রাসায়নিক ও হরমোন ওষুধ খাওয়ানো থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে এবং তা মনিটরিং করা হচ্ছে। গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন বলেন, পশুর হাটে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প রাখা হবে। এ ছাড়া জাল নোট শনাক্ত করার মেশিনও থাকবে। কোরবানির জন্য নির্ধারিত পশুর হাটে হাসিলের পরিমাণ সাইনবোর্ডে লেখা থাকতে হবে। যেকোন ধরনের অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি এড়াতে হাট কমিটির লোকজন ও পুলিশ তৎপর থাকবে।