![Daily Nabochatona](https://dailynabochatona.com/wp-content/uploads/2023/01/31BwAd3.png)
গাছে কান পাতলেই শোনা যেত নারী কন্ঠের আর্তনাদ, আমাকে মারিস না, আমাকে কেটো না সহ বিভিন্ন রকমের কান্নার আওয়াজ। আলোচিত সেই গাছটিকে আজ শনিবার (২২ জুন) দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কেটে ফেলা হয়েছে। এমন অলৌকিক ঘটনাটি ঘটেছিল গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের গজিনা গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ আগে গজিনা গ্ৰামের পাঁচ বছর বয়সী নিরব নামের একটি শিশু দা দিয়ে গাছটিতে কোপ দিলে গাছটি ‘আমাকে মারিস না’ বলে চিৎকার করে। পরবর্তীতে এই মন্তব্য টি মানুষের মুখে মুখে এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর বিভিন্ন পাড়া মহল্লার মানুষ দলে দলে এসে গাছে কান পেতে কদা শোনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে গাছে কান পাতা সকলে নারী কণ্ঠে কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে বলে দাবি করেন। অনেকেই সালাম দিয়ে সালামের উত্তর শুনেছেন আবার কেউবা কান্না বা আর্তনাদের আওয়াজ। মুহূর্তের মধ্যেই গোপালগঞ্জ জেলা সহ রাষ্ট্রপতি জেলায় ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক রহস্যে জন্ম দেয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবরটি ঘটা করে প্রকাশ করা হয়। বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে ছুটে আসতে শুরু করে উৎসুক জনতা।
এলাকাবাসী কথা বলা গাছটিকে পবিত্র দাবি করে গাছটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চারপাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরাও করেন। অনেকেই মানত করে গাছের গোড়ায় টাকা রাখেন। একপর্যায়ে গ্ৰামের কয়েকজন নামাজী সচেতন মুরব্বিদের কথায় বেড়া ভেঙ্গে ফেলা ও টাকা রাখাও বন্ধ হয়। পরবর্তীতে শনিবার (২২জুন) মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আবুবকর মিয়া ও রাঘদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান টুটুল এর নির্দেশে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে গাছটি কর্তন করা হয়। ওসি আবুবকর মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, এই ডিজিটাল যুগে এসেও মানুষ কুসংস্কারে মেতেছে। কুসংস্কার রোধে এলাকার চেয়ারম্যান কে নিয়ে আজ গাছটি কর্তন করা হয়েছে। গাছটি কর্তন করা হলেও এখনো ওই গ্ৰামের কিছু সহজ সরল মানুষ এখনো দাবি করছেন যে, গাছ সত্যি সত্যিই কথা বলছে। অপরদিকে সচেতন মানুষ তাঁদের দাবিকে কুসংস্কার বলে আখ্যা দিচ্ছেন।
গাছটি দেখতে ও গাছের কথা শুনতে সপ্তাজুড়ে গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলা পাশ্ববর্তী মাদারীপুর, বরিশাল ও নড়াইল জেলা থেকে হাজার হাজার মানুষ এসেছিলেন।