সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার চরাঞ্চলে এবার চিনা বাদাম চাষাবাদে বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে বাজার দাম ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এতে এ লাভজনক চাষাবাদে ঝুকছে কৃষকেরা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উক্ত চরাঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া বাদাম চাষের জন্য সময় উপযোগী। এ চাষাবাদে সংশ্লিষ্ট কৃষি বিভাগের সহযোগিতা ও পরামর্শ পাচ্ছে কৃষকেরা। এবার ওই উপজেলার সৌদিয়াচাঁদপুর, উমারপুর, স্থল ও ঘোড়জানসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলে এই চাষাবাদ বেশি হয়েছে এবং এসব অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে উন্নত জাতের ঢাকা-১, ঢাকা-৪ বাড়ি চিনা বাদাম, বিতরণ করে কৃষি বিভাগ। এতে কৃষকেরা স্থায়ী জাতের চেয়ে অধিক ফলনও পেয়েছে। এ কারণে কৃষকেরা লাভজনক চিনা বাদাম চাষে ঝুকছে। স্থানীয় কৃষিবিদরা বলছেন, চরাঞ্চলে বাদাম চাষে অল্প কিছু কীটনাশক ও অল্প খরচে বাদাম চাষ করা সম্ভব। এতে বাড়তি সেঁচ ও পরিচর্যার কোন প্রয়োজন হয় না। কম খরচে বেশি মুনাফা অর্জনের জন্য কৃষকরা বাদাম চাষে আগ্রহও বেশি দেখাচ্ছে এবং চরাঞ্চলের মাটি বেলে দো-আঁশ, বেলে দো-আঁশ মাটিতে অধিক তাপমাত্রা, পর্যাপ্ত সূর্য্যরে আলো ও মাঝারি বৃষ্টিপাত পেলে চীনাবাদাম ও দেশীও জাতের বাদামের ফলন ভাল হয়। এ চরাঞ্চলে প্রনোধনা কর্মসূচির আওতায় ৫‘শ কৃষকের মাঝে বাদামের বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করেছে ওই কৃষি বিভাগ। এ কারণে লাভজনক বাদাম চাষাবাদে ঝুকছে কৃষকেরা। স্থানীয় কৃষকেরা বলছেন, এবার বিঘা প্রতি বাম্পার ফলন বাদাম উৎপাদিত হয়েছে এবং অন্য ফসলের চেয়ে বাদাম চাষে এখন খরচ কম লাভ বেশি। বর্তমানে বাদাম ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে এবং খরচের চেয়ে লাভ বেশি হওয়ায় কৃষের মুখে হাসি ফুটেছে। এ বিষয়ে অতিরিক্ত উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. সাব্বির আহমেদ সিফাত জানান, চরাঞ্চলে কৃষকদের বাদাম চাষাবাদে সব ধরণের সহযোগীতা ও পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। এ বছর চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে বিঘা প্রতি ১২ থেকে ১৫ মণ বাদাম উৎপাদিত হয়েছে এবং এখন বাজার ভালো থাকায় কৃষকেরা খুশি। চরাঞ্চলের বেলে দো-আঁশ মাটিতে লাভজনক বাদাম চাষ আরো বৃদ্ধি করতে চাষিদের পরামর্শ ও উৎসাহ দেয়া হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।