দৈনিক রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি লায়েকুজ্জামান আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
শনিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
শনিবার বিকেলে কর্মস্থল রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকা অফিসে কর্তব্যরত অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে সহকর্মীরা তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সিনিয়র সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান এর আগে দৈনিক কালের কণ্ঠে কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে সম্প্রতি তিনি রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকায় বিশেষ প্রতিনিধি হিসেবে যোগদান করেন।
সাংবাদিক লায়েকুজ্জামানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার এসআরজে সুমন বলেন, শনিবার বিকেলে কর্মস্থল রূপালী বাংলাদেশ পত্রিকা অফিসে কর্তব্যরত অবস্থায় বুকে ব্যথা অনুভব করলে সহকর্মীরা তাকে হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লায়েকুজ্জামান ১৯৬৪ সালে ফরিদপুরের জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দায়। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দুই মেয়ে রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
লায়েকুজ্জামান প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি প্রাপ্ত হন। ১৯৮০ সালে তিনি ফরিদপুর জেলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে রাজেন্দ্র কলেজে ভর্তি হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স করেন।
তিন ভাই ও তিন বোনের সংসারে ভাইদের মধ্যে তিনি সবার ছোট ছিলেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অনার্স-মাস্টার্স করলেও কর্মজীবনে তিনি পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা বেছে নেন।