এডিসি হারুনের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে মারধরের অভিযোগে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেছেন, এ ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রোববার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিবিপ্রধান সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
একজন সাংবাদিক ডিবিপ্রধানকে প্রশ্ন করেন, ডিএমপির রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশীদ দুজন ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় নিয়ে পিটিয়েছেন। বেধড়ক মারপিট করেছেন। তারা গুরুতর আহত হন। এ বিষয়ে ডিএমপি কোনো ব্যবস্থা নেবে কি না?
জবাবে ডিবিপ্রধান বলেন, ডিএমপি কমিশনারসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানেন। এটি তদন্ত করা হবে, তদন্তে এডিসি দোষী হলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে, শনিবার রাতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফজলুল হক হলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈমকে শাহবাগ থানায় ধরে নিয়ে বেদম মারধর করেন পুলিশের রমনা বিভাগের এডিসি হারুন অর রশিদ। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, এডিসি হারুন শনিবার রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন। এরপর অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুইজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবশ্য পুরো ঘটনাই অস্বীকার করেন এডিসি হারুন। তিনি কালবেলাকে বলেন, ‘আমি এসব কিছু জানি না।’