জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্মজয়ন্তীতে কবি নজরুল কে নিয়ে নজরুলীয়ানদের ভাবনা জানতে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার নিয়েছে দৈনিক নবচেতনার প্রতিনিধি আবু ইসহাক অনিক। যাদের মধ্যে রয়েছেন সাধারন শিক্ষার্থী, আঞ্চলিক সংগঠন ও ক্যারিয়ার ভিত্তিক সংগঠনের শীর্ষ দায়িত্বে থাকা শিক্ষার্থী।
প্রেম ও বিদ্রোহ কবি কাজী নজরুল ইসলাম
মির্জা শাকিল -সভাপতি, ক্যারিয়ার ক্লাব
কবি নজরুল তার শৈশব থেকে যৌবন এমনকি শেষ বয়স অব্ধি আমাদের শিখিয়েছেন কিভাবে প্রতিকূল পরিবেশে টিকে থাকতে হয়, কিভাবে সকল পরিস্থিতিতে নিজেকে ছাড়িয়ে যেতে হয়। কবি তার সাহিত্যে কর্মেও ছাপ রেখেছেন। কখনো প্রেমের, কখনো সংগ্রামের, কখনো শুনিয়েছেন বিদ্রোহের বাণী!
শাসন,শোষণের বিরুদ্ধে লড়েছেন শক্ত হাতে।
এই নজরুল জয়ন্তীতে কবির প্রতিচ্ছবি ধারন করে সবাই একসাথে দেশ ও দশের জন্য কাজ করে যাওয়াই হোক মূল প্রত্যয়।
ঐক্যবদ্ধ জাতির ডাক দিয়েছেন নজরুল
জাফরিন হোসেন অর্পা, আইন ও বিচার বিভাগ
কাজী নজরুল বললেই ভেসে ওঠে বিদ্রোহী কবি আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর কথা। বিদ্রোহী কবি হয়েও তিনি শুধুমাত্র বিদ্রোহ নিয়ে ছিলেন না। তিনি ছিলেন সাম্য,দ্রোহ এবং প্রেমের কবি।একাধারে তিনি লিখেছেন উপন্যাস, ছোটগল্প,প্রবন্ধ। তিনি তার লেখনীর মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন দেশ ও দশের কথা। তার সৃষ্টি নিয়ে ভাবতে গেলে চিন্তায় আসে হাজারো লেখা কবিতা যার অর্থ নিজের জীবনের অর্থের সাথে মিলাতে গেলে বোধগম্য হয় না।
“ধর্মের পথে শহীদ যাহারা আমরা সেই সে জাতি। সাম্য মৈত্রী এনেছি আমরা বিশ্বে করেছি জ্ঞাতি। আমরা সেই সে জাতি” নজরুলের লেখা এই কবিতার মতোই সম্পূর্ণ জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে একসাথে একতালে এগিয়ে যাওয়ার মন মানসিকতা তৈরী করতে হবে, করতে হবে মোকাবেলা সকল বিপদের সম্মুখে। বর্তমান সমাজে নজরুলের আদর্শকে মেনে চলতে পারলে সমাজ হতো আরো সুন্দর, সাবলীল।
নজরুল আমার আদর্শ
নাজমুল প্রামানিক, সভাপতি, রংপুর বিভাগীয় ছাত্র সংগঠন
নজরুল এমন একটি নাম যে নামটি শুনলেই হৃদস্পদন বেড়ে যায়, বেড়ে যায় সাহস, বেড়ে যায় অন্যায়ের শিকল ভেঙ্গে ফেলার দৃঢ় প্রত্যয়।
নজরুল এমন একজন ছিলেন যার ভাবনা ছিলো আকাশ সমান, যিনি ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে তার কলম যুদ্ধ চালিয়ে কারা বরণ করেছিলেন, যিনি সমাজের প্রতিটা মানুষের কথা ভেবেছিলেন, যার হৃদয় কাঁদতো সমাজের খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য আর তাইতো তিনি লিখেছিলেন “দেখিনু সেদিন রেলে,
কুলি ব’লে এক বাবু সা’ব তারে ঠেলে দিলে নীচে ফেলে!
চোখ ফেটে এল জল,
এমনি ক’রে কি জগৎ জুড়িয়া মার খাবে দুর্বল?”
নজরুল এমন একজন ছিলেন যিনি ভেদাভেদ করতেন না মানুষের মাঝে আর তাইতো তিনি বলেছেন . “মানবতার এই মহা যুগে একবার গণ্ডি কাটিয়া বাহির হইয়া আসিয়া বল যে, তুমি ব্রহ্মণ নও, শুদ্র নও, হিন্দু নও, মুসলমান নও তুমি মানুষ, তুমি সত্য।”
নজরুল তার লেখনীতে ভুলে যান নি নারীদের তিনি নারীদের সম্মানার্থে লিখেছেন “কোনকালে একা হয়নিকো জয়ী পূরুষের তরবারী। প্রেরনা দিয়েছে, শক্তি দিয়াছে, বিজয়ালক্ষী নারী।”
নজরুলের জীবনী পড়লে পাওয়া যায় জীবনের স্বাধ, জীবনের প্রকৃত মানে। তার কবিতা, গল্প, উপন্যাস আমাদের শিক্ষা দেয় অসাম্প্রদায়িক, বৈষম্যহীন, শোষণমুক্ত জাতি গড়ার।
এই অসাধারণ প্রতিভাবান কবির জন্মজয়ন্তীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।