নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে গ্রীণ কনজুমার ফুডস নামক একটি অনুমোদনহীন কারখানায় অভিযান চালিয়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ঔষধ প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় কারখানার সমানেই ধ্বংস করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ ভেজাল টেস্টি স্যালাইন ও ট্যাং। পরে কারখানাটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদী নতুন মহল্লা ধনুহাজী রোড এলাকায় র্যাব-১১ বাহিনীর সহায়তায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারাসিদ বিন এনাম এর আদালত এ অভিযান চালায়। অভিযান শেষে নারায়ণগঞ্জ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো: ইকবাল হোসেন জানান, আলাউদ্দিন ও আব্দুল্লাহ ওরফে শাহিন নামে দুইজন ব্যক্তি যৌথভাবে মোশারফ হোসেনের দ্বিতীয় তলা বাড়ির নিচতলায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে অনুমোদন ছাড়াই গ্রীণ কনজুমার ফুডস নামক কারখানা গড়ে তুলেন। কারখানাটিতে ভেজাল ইউনিকুইন টেস্টি স্যালাইন, টিংলেস ট্যাং ও ভি-ভিটা টিংলেস ট্যাং তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিলেন। গোপন সূত্রে এমন তথ্য পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারাসিদ বিন এনাম জানান, কারখানা মালিক পক্ষ ট্রেড লাইসেন্স ব্যতিত অন্যকোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। কারখানায় উৎপাদিত পণ্য ভেজাল ও খুবই নিন্ম মানের। অনুমোদন না থাকায় ও ভেজাল পণ্য উৎপাদনের অপরাধে মালিককে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি উৎপাদিত প্রায় ৩০ হাজার প্যাকেট পণ্য ধ্বংস ও কারখানা সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। অভিযানে ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও র্যাব-১১’র সিপিএসসি’র কোম্পানি কমান্ডার এমএম মাহমুদ হাসানসহ র্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দা সোহেল মিয়া জানায়, সিসি ক্যামেরা লাগানো বাড়িটির প্রধান গেইটে সবসময় তালা বদ্ধ থাকতো। বাড়ির পাশ দিয়ে গেলে একধরণের সুগন্ধি অনুভব হত। এতে বাড়িটি নিয়ে কৌতুহল ছিল এলাকাবাসীর মাঝে। কিš‘ কাউকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হতো না। প্রায় এক বছর ধরে বাড়িটিতে এই ভেজাল স্যালাইন ও ট্যাং তৈরি করে রাতের আঁধারে গোপনে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হত।