জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাঁশখুর গ্রামে বিয়ের দাবিতে নুরনবী হোসেন নামের এক ছেলের বাড়ীতে গিয়ে অনশনে বসেছেন এক নারী। সোমবার দুপুর থেকে দিনভর এই অনশনে বসেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। ওই নারীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবৎ নুরনবীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভনে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কও করেন সে। জানাগেছে, উপজেলার বড়পুকুরিয়া গ্রামের ওই নারীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাঁশখুর গ্রামের মীরশহীদের ছেলে নুরনবীর সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। এর আগে ভুক্তভোগী ওই নারী নুরনবীর বিরুদ্ধে একটি মামলাও করেছেন। সেই মামলায় নুরনবী কিছুদিন কারাবাসও করেছেন। জামিনে এসে নুরনবী পুনরায় ওই নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এদিকে স্ত্রীর পরকীয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে ওই নারীর আগের স্বামী তালাক হয় । এবিষয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, নুরনবী আমাকে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। এখন সে আমাকে রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নুরনবীর কারনে আমার সংসারও ভেঙেছে। আমি বাধ্য হয়ে নুরনবীর বাড়ীতে এসে অনশন করছি। সে যদি এখন আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেয়। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরিদুল ইসলাম বলেন ওই নারী নুরনবীর বাড়ীতে এসে অবস্থান করছেন। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলার রক্ষার্থে আমি সেখানে যায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশও সেখানে আসে। গতকাল সোমবার থেকে ওই নারী এখন পর্যন্ত নুরনবীর বাড়ীতে অবস্থান করছেন। পাঁচবিবি কুসুম্বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঙ্গলবার দুপুরে মো: জিহাদ মন্ডল বলেন, মেয়েটি তার নায্য অধিকার পাক এটা আমিও চাই। প্রয়োজনে ওই নারী আইনগত ব্যাবস্থা নিতে পারে,আমি তাকে সহযোগী করবো।