পলাশবাড়ীতে বেশকিছু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামমাত্র অবকাঠামো নির্মাণ করে পাঠদানের কোন ব্যবস্থা না থাকলেও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে কাগজে-কলমেই বাস্তবায়ন হয়ে আসছে এসব বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বৎসরে একদিনও ক্লাস হয়না তার পরেও প্রতি বছরই সরকারি পাঠ্যপুস্তুক উত্তোলন করে আসছে বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কতিপয় সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে শিক্ষার্থী ও অবকাঠামো বিহিন এইসব বেসরকারি বিদ্যালয় জাতীয়করণের জন্য জোড় তৎপরোতা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, ওই সব বিদ্যালয়ে চেয়ার-টেবিল ও ব্রেঞ্চ একটিও নেই এবং বিগত কয়েক বছরে একদিনও ক্লাস হয়নি। বিশেষ করে শ্রীকলা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেড়াডাঙ্গা পশ্চিমপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, লোকমানপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আসমতপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিম নয়ানপুর উত্তরপাড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চকবালা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তেকানি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বেশকিছু বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহাল দশা। উপজেলায় মোট ২৬টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে তবে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কেউ জানেনা তার হিসাব। প্রতি বছরে কোন বেসরকারি বিদ্যালয়ে কত সেট করে বই বিতরণ করা হয় সেটাও তাদের জানা নেই। সচেতন মহল মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঠিক তদন্ত হলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে।