বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড পাউবোর চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের আওতাধীন রামগঞ্জে খালের অংশে পানি না থাকায় বোরো ধান চাষ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পানির অভাবে অনেক কৃষক বোরো ধানের চারা রোপন করতে পারছে না, আবার যারা রোপন করছেন পানি অভাবে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। সরজমিনে উপজেলার চন্ডীপুর, ইছাপুর, রাঘাবপুর, নুনিয়াপাড়া, নয়নপুর, নারায়নপুর, শ্রীরামপুরসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এক মাসের মধ্যে বোরো ধানের বীজতলা থেকে চারা নিয়ে রোপন করার কথা থাকলেও পানির অভাবে অধিকাংশ বীজতলায় ধানের চারা নষ্ট হচ্ছে । খালে পানি না থাকায় অনেক কৃষক বিকল্প উপায়ে পুকুর ও দীঘির পানি দিয়ে ধান রোপন করলেও আবাদি জমিগুলো পানি সংকটে মাটি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। উপজেলা নয়নপুর গ্রামের কৃষক কামাল হোসেন ও রাঘাবপুর গ্রামের সমি রঞ্জন বলেন, ৪৫০ শতাংশ জমিতে এবার বোরো ধানের চাষ করেছি কিন্তু পানির অভাবে ধানের চারা গুলো শুকিয়ে যাচ্ছে। ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির হোসেন খান বলেন, কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে বোরো ধানের আবাদী জমি গুলো পরিদর্শন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দিয়েছি। তিনি সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সায়েদ রায়হানুল হায়দার বলেন, এ বছর প্রকল্পের অধীনে সাড়ে নয় হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ও ১হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে রবি শস্য আবাদ হবে। কিন্তু জানুয়ারির প্রথম দিকে পানি আসার কথা থাকলেও চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের মটর খারাপ থাকায় কোন কোন স্থানে খালে বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় পানি আসতে দেরি হচ্ছে। সঠিক সময়ে পানি না পেলে বোরো ধানের উৎপাদন ব্যাহত হবে। তাই চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছি। আশা করি অচিরেই পানির সমস্যা সমাধান হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেয়ে কৃষি কর্মকর্তাকে সরজমিনে পাঠিয়েছি। উপজেলা উন্নয়ন সভায় আলোচনাও করেছি। পানি সংকট সমাধানের জন্য চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাঙ্গে আমাদের কৃষি কর্মকর্তাকে যোগাযোগ করার জন্য বলেছি। আশা করি অচিরেই পানির ব্যবস্থা হবে।