আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে বাধা দেওয়া হবে না। গণপরিবহন চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
তিনি বলেন, খেলা হবে ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দূনীতির বিরুব্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে ,খেলা হবে, প্রস্তুত হয়ে যান। খেলা হবে ডিসেম্বরে। খেলা হবে নির্বাচনে, খেলা হবে আন্দোলন মোকাবিলায়।
খেলা হবে বাংলাদেশ থেকে যারা হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে। ১৫ই ফেব্রুয়ারী মার্কা নির্বাচন এদেশে আর হতে দেওয়া হবে না। পৃথিবীর অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় বাংলাদেশেও সেভাবে নিবাচন হবে। শেখ হাসিনার সরকার রুটিন দ্বায়িত্ব পালন করবে। আসল দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের।
বর্তমান সরকার সুষ্ঠুভাবে দেশ পরিচালনা করছেন মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, শেখ হাসিনা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাননা। আজকে মানুষ কষ্টে আছে। সাধারণ মানুষ, স্বল্প আয়ের মানুষ কষ্টে আছে। শেখ হাসিনার রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তিনি জনগনের কষ্টের কথা চিন্তা করে ঘুমাতে পারেন না। ৭৫ এর পরে বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো এত সৎ মানুষ রাজনীতিতে আর আসেনি। শেখ হাসিনা সরকার করোনায় দেশের মানুষকে বিনা পয়সায় ভেকসিন দিয়েছে। যা অনেক উন্নত দেশ তা পারেনি।
১৫ আগস্টের হত্যাকান্ড বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান, আর ২১ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড হাওয়া ভবনের যুববাজ তারেক রহমান। অস্বীকার করার উপায় নাই বঙ্গবুন্ধর খুনীদের যারা পুরস্কৃত করেছেন পুনর্বাসিত করছেন, ইনডেমনিটি পাশ করে যারা খুনীদের বিচার হবেনা মর্মে দায় মুক্তি দিয়েছেন, জিয়াউর রহমান তাদের ক্ষমা করে দিয়েছেন। স্বাধীনতার পাঠক আর ঘোষক এক বিষয় না। ঘোষনার পাঠক অনেকেই ছিলো, ঘোষনার পাঠক ইতিহাসের নায়ক নয়, ইতিহাসের ফুটনোট মাত্র।
২৮ নভেম্বর সোমবার দুপুর ১২টায় দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় মাঠে দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দিনাজপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
এর আগে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামীলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাবেক নৌ-প্রতিমন্ত্রী শাহজাহান খান। নৌ- পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য বাবু সতীশ চন্দ্র রায়, আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শফিক প্রমুখ।
আওয়ামীলীগের কর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, দূর্দিনের নেতাদেরকে ভুলে যাবেননা। দূর্দিনকে ভুলে গেলে নিজেরাই নিজেদের ভুলে যাবেন। যখন আপনি তাদের অবস্থানে যাবেন তখন আপনাকে পরবর্তী প্রজন্ম ভুলে যাবে। অপরকে সম্মান জানানোর চর্চা রাখতে হবে। দিনাজপুরের প্রবীন নেতৃবৃন্দের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, তারা সকল সময়ে তৃণমূল নেতাদের গুরুত্ব দিয়েছেন। সেই চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। আজকে যিনিই নেতা নির্বাচিত হবেন তার সাথেই আগামীতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের হাতকে শক্তিশালী করতে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোন বিভেদ রাখা যাবেনা।
উল্লেখ দিনাজপুর জেলা আওয়ামীলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০১২ সালের ২৩ ডিসেম্বর। প্রায় দশ বছর পরে আজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আলতাফুজ্জামান মিতার নাম ঘোষণা করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক ও তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ।