কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্র অব বেঙ্গলের ৯১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও দানবীর রণদা প্রসাদ সাহার ১২৬ তম জন্মদিন ।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে দেশী বিদেশী অতিথিদের পদচারনায় মুখরিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেলে কুমুদিনী কমপ্লেক্সে নানা কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
এসব কর্মসূচীতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, ভূটান ও নেপালের রাষ্ট্রদূতসহ দেশী-বিদেশী অতিথিরা অংশ নেন, সন্ধায় ভারতেশ্বরী হোমসে দানবীর রণদা প্রসাদ সাহা ও কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্রের ওপর প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
পরে আগুনের পরশমনি ছুয়াও প্রাণে গানের সাথে সাথে মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয়। এতে দেশী বিদেশী অতিথি, ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রী, নার্স, শিক্ষকগণ অংশগ্রহন করেন। পরে ভারতেশ্বরী হোমসের ছাত্রীরা মনোমুগ্ধকর শারীরিক কসরত প্রদর্শন করে। এরপর হোমসের ডাইনিং হলে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও জন্মজয়ন্তীর কেক কাটা হয়।
এর আগে হোমসের মাঠে অতিথিদের স্বাগত জানিয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুমুদিনী ওয়েল ফেয়র ট্রাস্ট্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব প্রসাদ সাহা। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় কুমার ভারমা, অস্ট্রেলিয়ার হাই কমিশনার জেরেমি বুশ্র, ভূটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনতসি, নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শারফুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ, সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুছ ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবির, কুমুদিনী ওয়েল ফেয়ার ট্রাস্ট্রের পরিচালক ভাষা সৈনিক প্রতিভা মুৎসুদ্দি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল-৭ আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, আরমা দত্ত এমপি, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, কুমুদিনী ইউমেন্স মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা. আব্দুল হালিম, ভারতেশ্বরী হোমসের অধ্যক্ষ ত্রয়ী বড়ূয়া প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ১৮৯৬ সারে ১৫ নভেম্বর উথ্যান একাদশীতে অতিদরিদ্র পরিবারে এ মহামনিষীর জন্ম হয়। তার মায়ের নাম কুমুদিনী এবং বাবার নাম দেবেন্দ্র নাথ সাহা। শিশুকালেই পিতা মাতাকে হারিয়ে বড় হতে থাকেন তিনি। কঠোর অধ্যাবসায় আর অদম্য সাহসিকতা নিয়ে এগিয়ে যান তিনি। জীবন সংগ্রামে জয়ী রণদা প্রসাদ সাহা জীবনের সমস্ত উপার্জিত অর্থ মানবতার কল্যানে দান করে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদারদের এদেশীয় দোসরদের সহায়তায় রণদা প্রসাদ সাহা ও ছেলে ভবানী প্রসাদ সাহা রবিরে অপহরন করে নিযে যায়। তার পর থেকে তাদের আর কোন সন্ধান মেলেনি