বরিশাল নগরীতে অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা এবং প্রধান সহযোগীসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল র্যাব-৮ এর সদস্যরা। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বরিশাল নগরের রুপাতলী এলাকার র্যাব-৮ এর সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।সংবাদ সম্মলনে বরিশাল র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহামুদুল হাসান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় বেশকিছু বাস যাত্রী অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ার ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধান চালায় এবং এধরণের অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ শুরু করে। এঘটনায় ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একজন ডাব বিক্রেতাকে সন্দেহজনকভাবে নজরদারিতে রাখে র্যাব।এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুর ২ টার দিকে নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে বরিশাল নগরীর কোতয়ালী থানাধীন রুপাতলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আলী এন্টার প্রাইজ নামক বাস থেকে র্যাব-৮ অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা মো. সোহাগ ঘরামী (৪০) কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত সোহাগ বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার ফজলু ঘরামীর ছেলে।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোমবার ভিকটিম বরিশালের উজিরপুর উপজেলার চানচুড়িয়া গ্রামের মো. ইদ্রিসুর রহমান এর ছেলে মো. রবিউল ইসলাম তাঁর নানীর কাছ থেকে বাবার চিকিৎসার জন্য ৩০ হাজার টাকা নিয়ে বাসায় যাওয়ার পথে ঝালকাঠি বাসস্ট্যান্ড থেকে দুপুর পৌনে ১ টার দিকে আলী এন্টার প্রাইজ নামক বাসে বসে তাকে মেডিসিন মেশানো ডাবের পানি খাওয়ায়।পরবর্তীতে ভিকটিম মো. রবিউল ইসলাম অজ্ঞান হয়ে পড়ে। এসময় আসামি সোহাগ ঘরামীর সহযোগী ভিকটিম মো. রবিউল ইসলামের পকেটে থাকা নগদ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং র্যাব-৮ এর একটি আভিযানিক দল আসামিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামির কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা উদ্ধার করে ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়।জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার রাত ১১টার দিকে র্যাব-৮ এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অজ্ঞান পার্টির মূল হোতা মো. সোহাগ ঘরামী (৪০) এর প্রধান সহযোগী বিপ্লব অধিকারী (৪০) কে গ্রেপ্তার করে।প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত আসামিদ্বয়ের নিকট হতে আরো সহযোগীদের তথ্য পাওয়া গেছে। যার প্রেক্ষিতে পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান থাকবে। গ্রেপ্তারকৃতদের কোতয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।