কক্সবাজারে জমে উঠেছে পর্যটন মেলা ও বিচ কার্নিভাল। মেলার ৫ম দিনে বিশেষ আকর্ষণ ছিলো বিদেশিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তার আগে বিষয়ভিত্তিক প্যানেল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের কারণে দেশি-বিদেশি সকল পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় স্থান কক্সবাজার।
তাই প্রাকৃতিক এই সম্পদের সুরক্ষা এবং পর্যটকদের সুবিধার্থে নিতে হবে প্রয়েজনীয় ব্যবস্থা। তার জন্যে সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে আসতে হবে বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরও। তাহলেই পর্যটন শিল্প বিকাশে কক্সবাজার হয়ে উঠবে অনত্যম মাধ্যম।
দেশের পর্যটন নগরীর রাজধানী বলা হয় কক্সবাজারকে।
যেখানে পর্যটকই স্থানীয় অর্থনীতির মূল স্তম্ভ। এমনকি স্থানীয়দের অর্থনৈতিক পরিমন্ডলও পর্যটককে ঘিরেই। দেশি-বিদেশি সব ধরণের পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারের সৌন্দর্যকে তুলে ধরতে মহাপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। সেই পরিকল্পনাকে বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে সাতদিনব্যাপী পর্যটক মেলা ও বিচ কার্নিভালের আয়োজন চলছে লাবণী বিচে।
শনিবার ‘পর্যটন শিল্প বিকাশে বেসরকারি উদ্যোগ : কক্সবাজার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এসব বক্তব্য উঠে আসে। প্যানেল আলোচনায় বক্তারা বলেন, পর্যটন শিল্প বিকাশে বিদেশিদের গুরুত্ব দেওয়াটা সব থেকে জরুরি। যেটি কক্সবাজারে একেবারেই উহ্য।
বিচপাড়ে পর্যটক হয়রানি বন্ধে বেসরকারি উদ্যেক্তাদের এগিয়ে আসতে হবে, সেই সাথে থাকতে হবে সংস্কৃতি ও বিনোদনের ব্যবস্থা, এমনটাও জানান বক্তারা।
কক্সবাজারকে বিশ্বমানের করতে ইতোমধ্যে পৃষ্ঠপোষক হিসাবে কাজ করছে দেশের শীর্ষ স্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ।
প্যানেল আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আবু তাহের, কক্সবাজার সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ সোলেমান, বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র জিএম আবু হেনা। সভা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিভীষণ ক্লান্তি দাশ। আলোচনা শেষে অনুষ্ঠিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। যেখানে অংশ নেন বিদেশিরা, গান ও সালসা নাচ দিয়ে তারা দর্শক মাতান।
নবচেতনা /আতিক