মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের খরচ লাখ টাকার নিচে নামতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী কর্মীর আসা-যাওয়ার টিকিটসহ মালয়েশিয়া প্রান্তের খরচ নিয়োগকর্তার। এখানে কর্মীর খরচ বলতে তার গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকায় আসার খরচ, পাসপোর্ট তৈরি বিএমইটি ফি, কল্যাণ বোর্ডের সদস্য ফি, মেডিকেল ফি এবং রিক্রুটিং এজেন্সির সার্ভিস চার্জ।
মঙ্গলবার মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, মালয়েশিয়া প্রান্তের খরচের মধ্যে আছে রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি নিয়োগ, মালয়েশিয়ায় গমনের প্লেন ভাড়া, আবাসন, কর্মে নিয়োগ। কর্মীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর খরচ নিয়োগ কর্তা বহন করবেন। নিয়োগকর্তা নিজ খরচে মালয়েশিয়ান রিক্রুটিং এজেন্ট নিযুক্ত করতে পারবেন।
ইমরান আহমদ বলেন, মালয়েশিয়ায় যাওয়ার পর বাংলাদেশি কর্মীর ইমিগ্রেশন ফি, ভিসা ফি, স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ, ইন্স্যুরেন্স সংক্রান্ত খরচ, করোনা পরীক্ষার খরচ, কোয়ারেন্টাইন সংক্রান্ত খরচসহ সকল ব্যয় মালয়েশিয়ার নিয়োগকর্তা বা কোম্পানি বহন করবে। নিয়োগকর্তা কর্মীর মানসম্মত আবাসন, বিমা, চিকিৎসা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করবেন।
তিনি বলেন, আগে সরকার নির্ধারিত অভিবাসন ব্যয় এক লাখ ৬০ হাজার কিংবা এক লাখ ৬৫ হাজার যাই থাকুক না কেন, এখন তা থেকে অনেক কমে আসবে। কারণ সেই ব্যয়ের বেশিরভাগ খরচই নিয়োগকর্তা বহন করবেন।
আগে বিমান ভাড়া আমাদের কর্মীরা দিতেন, যার কারণে ঐ ব্যয় ছিল। এবার আশা করি, অনেক ব্যয় কমে যাবে। আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সির চার্জ যাই হোক, সেটা আমাদের কর্মীদের ওপর পড়বে। মালয়েশিয়ার অংশেরটা নিয়োগকর্তা দেবেন। সার্ভিস চার্জ নির্ধারণ করা নেই। তবে আইডিয়া করা যায় দুই তিন মাসের বেতনের বেশি হওয়া উচিত না।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন বলেন, অভিবাসন আইন অনুযায়ী আমরা অভিবাসন ব্যয় নির্ধারণ করতে পারি। সেটা করে একটা ধারণা দিতে পারি, খরচ কেমন হতে পারে। মালয়েশিয়ার সঙ্গে নতুন চুক্তির আলোকে সর্বোচ্চ কত টাকা নিতে পারবে, সেটা নির্ধারণ করবো।