মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে আরো ৮ হাজার ৪৬৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যু কমেছে প্রায় ২০০। এতে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা ৪০ লাখ ৮২ হাজার ৫৮৯ জনে পৌঁছেছে।
একই সময়ে প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ লাখ ৫৭ হাজার ২৫৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৭ হাজারের বেশি। এতে মহামারির শুরু থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ৯৬ লাখ ৯৯ হাজার ১৪৭ জনে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে করোনায় গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। এ সময়ের মধ্যে দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯৮২ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৬ হাজার ৭৫৭ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২৭ লাখ ২৬ হাজার ৮০৩ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৭০ হাজার ১৯২ জনের।
মহামারি এ ভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৮৬ হাজার ২০১ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৬ লাখ ২৪ হাজার ১৮৯ জন মারা গেছেন।
আর লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১ হাজার ৫৫২ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৫২ হাজার ৭৮৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৯২ লাখ ৬২ হাজার ৫১৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৩৯ হাজার ৫০ জনের।
অন্যদিকে করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৪৪ জন এবং নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৯ হাজার ৭২ জন। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ৩ কোটি ১০ লাখ ২৫ হাজার ৮৭৫ জন এবং মারা গেছেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৬৩ জন।
এদিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ফ্রান্সে এক লাখ ১১ হাজার ৪২৯ জন, রাশিয়ায় এক লাখ ৪৬ হাজার ৬৯ জন, যুক্তরাজ্যে এক লাখ ২৮ হাজার ৫৯৩ জন, ইতালিতে এক লাখ ২৭ হাজার ৮৪০ জন, তুরস্কে ৫০ হাজার ৪১৫ জন, স্পেনে ৮১ হাজার ৮৪ জন, জার্মানিতে ৯১ হাজার ৮৬৩ জন এবং মেক্সিকোতে ২ লাখ ৩৫ হাজার ৫০৭ জন মারা গেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে সংস্থাটি।