যশোরের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরও করোনা রোগী পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই নার্স ও এক নিরাপত্তা প্রহরীকে শোকজ করাসহ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
একইসঙ্গে ঘটনা তদন্তে সোমবার (১৭ মে) একটি কমিটি গঠন করেছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক হিমাদ্রি শেখর সরকার। পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট আব্দুর রহিম মোড়লকে প্রধান করে গঠিত কমিটিতে সদস্য সচিব রয়েছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ। এছাড়াও ডেপুটি সিভিল সার্জন সাইনূর সামাদ ও উপসেবা তত্ত্বাবধায়ক ফেরদৌসী বেগমকে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
এদিকে, ঈদের আগের দিন (১৩ মে) যশোরের জেনারেল হাসপাতালে করোনা ইউনিট (রেড জোন) থেকে পালিয়ে যাওয়া ভারতফেরত বাংলাদেশি নাগরিক ইউনুস আলী গাজীর (৪০) এখনও খোঁজ মেলেনি। আইনশৃংখলা বাহিনী সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করেও তাকে ধরতে পারেনি।
যশোরের জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে (রেড জোন) রোগী সেবার কাজে নিয়োজিত ছিলেন সিনিয়র স্টাফ নার্স বিজলী বালা রপ্তান ও শিউলী সরকার। গেটে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছিলেন মুজিবর রহমান। ১৩ মে বিকেল ৫টা ৫মিনিটে ভারতফেরত করোনা রোগী ইউনুসকে ভর্তি করে হাসপাতালের রেডজোনে পাঠানো হয়। ইউনুস চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ চররামপুর গ্রামের লুৎফর রহমান গাজীর ছেলে। চিকিৎসা না নিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক জেলা প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে অবহিত করে। এরপর পুলিশ তাকে ধরতে অভিযান চালালেও সন্ধান করতে পারেনি।
গত ১৮, ২০, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল এই হাসপাতাল থেকে ভারতফেরত সাতজনসহ মোট ১০ জন করোনা রোগী পালিয়ে যায়। ২৬ এপ্রিল রাতে সকল রোগীকে আটক করে হাসপাতালে ফিরিয়ে আনে পুলিশ।
ওই ঘটনায়ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটি তদন্ত শেষ করে তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে অতিদ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরিফ আহমেদ।