বাংলাদেশে পৌঁছার পর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সফররত শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসে।
শুক্রবার সকাল ১১টায় ঢাকার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
পরে স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে একটি পারিজাত ফুল গাছের চারা রোপণ শেষে ১১টা ১৪ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জাতীয় স্মৃতিসৌধের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানসূচির অংশ হিসেবে শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার দুপুর ৩টায় হোটেল সোনারগাঁওয়ের প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটে মাহিন্দা রাজাপাকসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
বেলা সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডের অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী। এরপর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বল রুমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং নৈশভোজে যোগ দেবেন তিনি।
শনিবার সকাল ১০টায় মাহিন্দা রাজাপাকসে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। তিনি জাদুঘর পরিদর্শন করবেন এবং সেখানে দর্শনার্থীর বইতে স্বাক্ষর করবেন।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে দুই সরকার প্রধানের উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।
সন্ধ্যা ৫টায় বঙ্গভবনের ক্রেডিশিয়াল হলে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দর্শনার্থীর বইতে স্বাক্ষর করবেন তিনি।
এর আগে শুক্রবার সকাল ১০টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসা এক ফ্লাইটে তিনি পৌঁছান। পৌঁছানোর পর শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এ সময় তিন বাহিনীর চৌকস দল শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। একই সঙ্গে তাকে লালগালিচার সংবর্ধনা দেয়া হয়।
শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপাকসেকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যসহ সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারী ২২ মার্চ দুইদিনের সফরে ঢাকা আসবেন। এছাড়া ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং ২৪ ও ২৫ মার্চ ঢাকা সফর করবেন এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২৬ মার্চ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর ২৭ মার্চ ঢাকা ত্যাগ করবেন।