ফরিদপুর জেলার মধুখালী উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের দুইশত বৎসরের বেশি প্রাচীন তিলে তিলে গড়ে উঠা সু- সজ্জ্বিত ঐতিহ্যবাহী বাজার অঞ্চলের জনমানুষের দল। কামারখালী বাজার ৫/৭টি ইউনিয়নের কৃষকের উৎপাদিত কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের একমাত্র কেন্দ্রস্থল। কামারখালী বাজারকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে ৩টি বেসরকারী পাটকল। এ বাজারে তিলে তিলে গড়ে উঠেছে বহুতল বিশিষ্ট মার্কেট , ব্যাংক,বীমা অফিস, এনজিও সহ ৫টি শিশু বিদ্যালয়, ৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দুইটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি বেসরকারী উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, একটি সরকারী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় , একটি ফাজিল মাদ্রাসা ও হেফজখানা , বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আব্দুর রউফ ডিগ্রী কলেজ সহ মসজিদ ও মন্দির। হাট বাজার ইজারার মাধ্যমে প্রতি বৎসর ৪০/৪৫ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। তাছাড়া বিভিন্ন প্রকার ব্যবসায়ীদের লাইসেন্স ও ইনকাম ট্রাক্র নবায়নের মাধ্যমে সরকারের প্রচুর রাজস্ব আদায় হয়ে থাকে। বাজারের মধ্যবর্তী রাস্তা দিয়ে চলাচল করে অত্র এলাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী ও জনমানুষের দল। বাজারের ভিতর দিয়ে রেল লাইন স্থাপন করা হলে বেকারত্বের সৃষ্টি হবে প্রায় ২০ হাজার মানুষের পরিবার। আমরা আশঙ্কা করছি প্রকল্প কাজ চলাকালীন সময়ে চলাচলের বিঘ্নঘটবে এমনকি জীবন নাশকের হুমকী রয়েছে। ১৯৪১ ইং সালে তদানিন্তন রেলকর্তৃপক্ষ কামারখালী পর্যন্ত রেললাইন স্থাপন করেন। উল্লেখ্য যে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে আড়কান্দি নামক স্থানে রেল সেতুটি ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় পরবর্তীতে রেল লাইন আর চালু হয় নাই। বর্তমান জনবহুল সরকার দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে মধুখালী হইতে মাগুরা পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারনের উদ্যোগ গ্রহন করেছে। এই উদ্যোগকে আমরা অত্র এলাকাবাসী বাংলাদেশের উন্নয়নের রুপকার গনত›েত্রর মানস কন্যা মানবতার জননী শান্তির পথে কøান্তহীন অগ্রযাত্রার পথযাত্রী , বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য সাধ্যের সবটুকু উজার করে দেশের মানুষের কল্যানে কাজ করছে জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাই। সরকারের ভীষণ ২০৪১ইং সালের আওতায় কামারখালীকে সম্পৃক্ত করার আমরা মাননীয় প্রধান মন্ত্রীকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাই। কামারখালী বাজার সংলগ্ন কিছু জমি রেল কোম্পানী ১৯৪১ সালে অধীগ্রহন করিয়াছিল। উক্ত জমি রেল কোম্পানী ইজারা প্রদান করিয়াছেন। যাহা বাজারের সাথে কোন সংশ্লিষ্ঠতা নেই। আমরা চাই দখলদার উচ্ছেদ করিয়া রেল কোম্পানী উক্ত জমির উপর আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল স্থাপন করিয়া উন্নয়নের ধারা অব্যাহত করিয়া জনমানুষের সুচিকিৎসার সুব্যবস্থা নিশ্চিত করার জন্য বিনীত ভাবে অনুরোধ করছি। আমরা চাই কামারখালী বাজারের পাশ দিয়ে বীরমুক্তিযোদ্ধা বাবু অরুণ কুমার সরকার এর বাড়ীর দক্ষিনে ফাঁকা জায়গা দিয়ে মধুমতি নদীর উপর রেলসেতুটি স্থাপন করিয়া মাগুরার রেললাইন স্থাপন করা হলে মধুমতি নদী শাসনের মাধ্যমে রক্ষা পাবে বীরশ্রেষ্ট মুন্সী আব্দুর রউফ ্এর জন্মস্থান ও স্মৃতি যাদুঘর সহ অত্র এলাকার ৫টি গ্রাম সহ কামারখালী বাজারের মধ্যে অবস্থিত তিলে তিলে গড়ে উঠা সকল প্রতিষ্ঠান মসজিদ,মন্দির সর্ব সাধারনের চলাচলের রাস্তা। নদীর ওপাওে কবি খন্দকার ফররুখ আহম্মেদের জন্মস্থান মাঝাইল গ্রাম। এই মর্মে অত্র এলাকার সর্বসাধারনের একটি আবেদন রেলওয়ে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ ও রেলমন্ত্রনালয়ে প্রেরন করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অত্র এলাকার জনগন মানববন্ধন ও কর্মসূচি পালন করেছে। যা ইউটিউব চ্যালেনের মাধ্যমে প্রচার করা হয়েছে। কামারখালী বাজারের রেল স্থাপন করা প্রসংগে আলোচনা সভা কিøক করলে সত্যতা জানা যাবে। সমাজের একটি কুচক্রী মহল কামারখালী বাজারকে কেন্দ্র করে ভূল তথ্য প্রকাশ করে সরকারকে মানবতা বিরোধী কার্যকলাপ করতে উসকানি দিচ্ছে। উল্লেখ্য যে এক শতাংশ কৃষি জমিতে ৪ মন ধান উৎপাদন না হলে ঐ জমিতে ধান উৎপাদন করা কৃষকের জন্য বিজ্ঞান সম্মত নয়। আমরা মনে করি বিকল্প রাস্তা দিয়ে রেললাইন স্থাপন করা হলে প্রকল্প ব্যয় হ্রাস পাবে এবং সরকারের প্রতি সর্বস্তরের সাধারন জনগনে আস্থা বৃদ্ধি পাবে ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে।