বন্যা ও করোনার কারণে কর্মহীন অগনিত মানুষ, ভেঙ্গে গেছে অনেক পরিবারের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড। নিম্ন আয়ের পরিবারের এখন নুন আনতে পান্তা ফুরানো অবস্থা। আকাশচুম্বি সবজির বাজার। সবজির চেয়ে মুরগির দাম কম। গতকাল বগুড়া শহরের ফতেহ আলী বাজার, রাজা বাজার, নামাজগড় বাজার, গোদারপাড়া বাজার, বক্সী বাজার, খান্দার বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে কিছু কিছু সবজি পন্যের তুলনার মুরগির দাম কম ছিলো। শিম, ধনের শাক, কাচাঁ মরিচ সহ কিছু সবজি পন্যের দাম ১২০ টাকার উপরে ছিল, সেক্ষেত্রে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১২০ টাকা কেজি। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় এবং বৃষ্টি কমে যাওয়ার কারণে বাজারে পন্যের সরবারহ কিছুটা বেড়ে যায়, সে কারণে সবজির বাজারে স্বস্তি ফিরতে শুরু করে। অপর দিকে প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে আলুর বাজার স্বাভাবিক হতে থাকে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় বেশির ভাগ সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা কমে গিয়েছিলো। চালের উচ্চমূল্যো স্থিতিসিল ছিলো। কিছু নিম্ন চাপের প্রভাবে বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় সবজির সরবারহ কমে যায়, তাই বাজারে লাফিয়ে বেড়ে গেছে সবজি পণ্যের দাম। অধিকাংশ নিত্য পন্যে সহ সবজির দাম উর্ধ্ব গতি, অন্যদিকে করোনার কারণে আয়ে ভাটায় নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। সরকারী কর্মচারী ছাড়া প্রায় সব পেশার মানুষের আয় কমেছে। তখন সবজি সহ নিত্য পন্যের দাম বৃদ্ধি গরিব ও নিম্ন মধ্যবিত্তদের জীবন যে দুর্বিষহ করে তুলছে তা সহজে অনুমেয়। ভোক্তাদের জন্য কোন সুখবর নেই সবজি বাজারে। করোনার মহাবিপর্যয়ের মধ্যে একের পর এক বন্যা অতি বর্ষণ আর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া নিম্নচাপ যেন মানুষের জীবন বিপর্যস্ত করে তুলছে।