পটুয়াখালী ও বরগুনা দুইটি জেলা উপকূলীয় বন বিভাগ পটুয়াখালীর নিয়ন্ত্রণে আর এ উপকূলীয় বনাঞ্চলে রয়েছে ছোট বড় প্রায় শতাধিক চর ও ডুব চর। নদ নদী খাল বেষ্টিত দুই জেলাকে গিড়ে সরকার প্রতিবছর সুফল প্রকল্প ও সংশ্লিষ্ট নদ নদী এবং চরের বুকে প্রাকৃতিক ভাবে তৈরী হওয়া ছোট ছোট খাল গুলোতে নানান পেশার শ্রমজীবী সাধারন মানুষ তাদের কর্মপরিধি গড়ে তোলে, যার ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর সরকার বন বিভাগের আওতায় চারা বিক্রয়, বনজদব্র বিক্রয়, করাতকল নবায়ন,পাশ পারমিটের মাধ্যমে রাজস্ব আহরণ করে থাকেন। সম্প্রতি সময়ে পটুয়াখালী জেলার চর মন্তাজ, গলাচিপা রেইন্জে ঘুরেদেখা যায় সোনারচর বিচ এলাকায় বিশাল ভূখণ্ড জুড়ে শুটকি পল্লী গড়ে উঠেছে খোঁজ নিয়ে জানা যায় গত ২০২২ থেকে আজ অবধি চলমান রয়েছে শুটকি পল্লীটি এতে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসন থেকে নির্বাচিত মো. মহিববুর রহমানকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর স্নেহ ভাজন কাছের লোক মূসা খানের নেত্তিত্বে পার্শ্ববর্তী জেলার ভোলার প্রায় শতাধক নারী ও পুরুষ নিজেদর বাসস্থান ও শুঁটকি সংরক্ষানাগাড় তৈরী করছে এতে বাসস্থান ও শুঁটকি সংরক্ষণাগার তৈরী করতে ব্যবহার করা হয়েছে বনের বনজ বৃক্ষ আবার প্রায় সময়ে বনের বড় বড় বনজ বৃক্ষ পাচার করা হচ্ছে। বনজ বৃক্ষ কর্তন ও রাতের আঁধারে বড় বড় ইঞ্জিল চালিত মাছের ট্রলার গুলোতে পাচর করে বন উজাড় করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব চুরি হচ্ছে বনজ বৃক্ষ। সার্বিক বিষয় শুটকি পল্লীর মাহাজন ভোলার বাসিন্দা শাহআলম জানান,তারা স্থানীয় বন সংরক্ষক বা বিট অফিসার ও রেইন্জ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি পাশ পারমিট নিয়ে তারা এ শুটকি পল্লী চালিয়ে আসছেন। অপরদিকে চর মন্তাজ রেইন্জ অফিসার জানান কোন প্রকার রাজস্ব আহরেনর পাশ পারমিটের কাগজ আমারা তাদের দেইনি এবং বনের যে গাছ কাঁটা হয়েছে তার বিষয়ে ক্ষতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে। উল্লেখ থাকে যে গত ২০২২ -২০২৩ অর্থ বছর ৩২,২৮০ ( বত্রিশ হাজার দুই শত আশি টাকা ও ২০২৩- ২০২৪ অর্থ বছর ৭;৪৪২( সাত হাজার চারশত) টাকা রাজস্ব আহরন করে এবং বিগত ২০২২ / ২০২৩ অর্থ বছরের রেইন্জ কর্মকর্তা শ্রী নয়ন কুমার মিত্র জানান, তার আমলে বন তাপসী ও বনানী ছাড়া আর কোনো চরে আমাদের কোন বন্ধবস্ত বা পাশ পারমিট দেয়া হয়নি। সোনার চর গুরে দেখা মিলে নদী ও চরের বুকে ছোট ছোট খাল গুলোতে ছোট ছোট নৌকাতে শিকার করা হচ্ছে নদীর কাঁকড়া ও সামুদ্রিক মাছ স্থানীয় ভাষায় কুচিয়া নামে পরিচিত আর নৌকা প্রতি কাঁকড়া ও কুচিয়া শিকারে জেলেদের দিতে হচ্ছে বিট অফিসারদের প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা । কাকরা ও কুচিয়া শিকারে কাজে নিয়োহজত ভোলার জাকির জানান, প্রতিদিন সকালে ও রাতে দিনে দু বার খাল ও নদীতে কাঁকড়া ও কুচিয়া ধরতে বিট আফিসার দের টাকা দিলে কোন জামেলা বা সমস্যা হয় না বলে তারা জানান । আরও বিস্তারিত তথ্য নিয়ে থাকছে আগামী পর্বে সাথ থাকুন ।