পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে উন্নত বিশ্বকে অর্থায়ন এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা বাড়াতে হবে। গত ডিসেম্বরে মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জীববৈচিত্র্য সম্মেলনে এবিষয়ে অর্থায়ন নিশ্চিতে বাংলাদেশ উন্নত বিশ্বের প্রতি জোরালো আহবান জানায়। উক্ত সম্মেলনে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কাজে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত দেশের জন্য গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক ফান্ড নামে একটি ডেডিকেটেড ফান্ডিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক পর্যায় থেকে অর্থপ্রাপ্তির পাশাপাশি নিজস্ব অর্থায়নও বাড়াতে হবে। বৃহস্পতিবার ‘ফ্রম এগ্রিমেন্ট টু একশন: বিল্ড ব্যাক বায়োডাইভারসিটি ‘ প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক জীববৈচিত্র্য দিবস ২০২৩ উপলক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক আয়োজিত ‘কনসালটেশন্স ওয়ার্কশপ অন ইমপ্লিমেন্টেশন অভ্ গ্লোবাল বায়োডাইভার্সিটি ফ্রেমওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক কর্মশালায় ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, জীববৈচিত্র্যের হারিয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সম্পাদিত বহুপাক্ষিক চুক্তিসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ইত:পূর্বে ২০১৬ তে প্রণীত জাতীয় জীববৈচিত্র্য কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা (ঘইঝঅচ) কে গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক-এর আলোকে হালনাগাদ কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। তাই জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি প্রাইভেট সেক্টরকেও একসাথে কাজ করতে হবে এবং এবিষয়ে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে হবে। জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে সকলকে একযোগে কাজ করলেই কেবল এবিষয়ে সফলতা লাভ করা সম্ভব হবে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, ইউ এন এনভায়রনমেন্ট, নাইরোবির রিপ্রেজেনটেটিভ অভ টাস্ক টিম ডক্টর অ্যালেক্স আবুসু বিনে; পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ; বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক সোলায়মান হায়দার।