বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ‘জুলিও কুরি’ শান্তি পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে স্বেচ্ছায় রক্তদান, র্যালি, সেমিনার, স্ক্রিনিং প্রোগ্রাম, লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে বিশ্ব ব্লাড ক্যান্সার দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগ ও হেমাটোলজি বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এসকল কর্মসূচীর প্রধান অতিথি হিসেবে শুভ উদ্বোধন করেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রক্তের ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। তবে আমরা যদি স্বেচ্ছায় রক্তদান করি বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। সাথে সাথে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তি রাখতে সহায়তা করা আমাদের সকলের পবিত্র দায়িত্ব। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকলে দেশে চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে, দেশের মানুষ ভালো থাকবে। মাননীয় উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে সুস্থ মানুষকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসার এবং রক্তের ক্যান্সার প্রতিরোধে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ক্যান্সার সম্পর্কে রোগী, রোগীর স্বজন, সকল পর্যায়ের স্বাস্থ্য সেবা প্রদানকারী এবং সর্বস্তরের জনগণের মাঝে সচেতনতা তৈরির ব্যাপারে মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ গুরুত্বারোপ করেন। ক্যান্সার রোগীদের বিশ্ব মানের চিকিৎসা এদেশেই নিশ্চিত করার তাগিদ দেন মাননীয় উপাচার্য। এবারে দিবসটির প্রতিপাদ্য হল ‘মেক ইউর মার্ক এ্যাগেইনস্ট ব্লাড ক্যান্সার’। বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশনসহ প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুলভে পেতে পারেন এবং ক্যান্সার চিকিৎসার সর্বাধুনিক সুবিধাদি সহজলভ্য করার ব্যাপারে সরকারী-বেসরকারী সকল পর্যায়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে হেমাটোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সালাহউদ্দীন শাহ আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন। সেমিনারে জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রায় ১৫ লাখ ক্যান্সার রোগী রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রতি বছর মৃত্যু হয় দেড় লাখ। কিন্তু দেশে জনসংখ্যা ভিত্তিক ক্যান্সার রেজিস্ট্রি নাই। জাতীয় ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণ কৌশল এবং কর্ম পরিকল্পনারও অভাব রয়েছে। সিবিসি, পেরিফেরাল ব্লাড ফিল্ম, বোনম্যারো স্টাডি, ইমিউনোফেনোটাইপিং, সাইটোজেনেটিক্স স্টাডির মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সার নির্ণয় ও শ্রেণীবদ্ধ করা যেতে পারে। কেমোথেরাপি, রেডিওথেরাপি, কোমোইমিউনোথেরাপি, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন হলো ক্যান্সারের অন্যতম চিকিৎসা। মহতী এই আয়োজনে মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম, হেমাটোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সালাহউদ্দিন শাহ, অধ্যাপক ডা. মোঃ আব্দুল আজিজ, অধ্যাপক ডা. এবিএম ইউনুস, অধ্যাপক ডা. মোঃ রফিকুজ্জামান খান, ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আয়েশা খাতুন, সহযোগী অধ্যাপক ডা. আতিয়ার রহমান, সহযোগী অধ্যাপক ডা. শেখ সাইফুল ইসলাম শাহীন প্রমুখসহ উক্ত বিভাগ দ্বয়ের শিক্ষক, চিকিৎসক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেমাটোলজী বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ সালাহউদ্দীন শাহ। আরো প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হেমাটোলজী বিভাগের রেসিডেন্ট ডা. নাজিয়া শারমিন ও ডা. নাহিদ আফরোজা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেসিডেন্ট ডা. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও ডা. মিম জারিন তাসনিম।