বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি)-এর সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের সুযোগ্য নেতৃত্ব ও সুদুর প্রসারী চিন্তা ও দিক নির্দেশনায় এগিয়ে যাচ্ছে বিআরটিসি। এরই ধারাবাহিকতায় চেয়ারম্যান মহোদয় বিআরটিসি’র প্রতিষ্ঠানের সমক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জনবল নিয়োগ, পদোন্নতি, সঞ্জিবনী প্রশিক্ষণ ও শিক্ষা বৃত্তি চালুসহ আরও অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এবং ইতোমধ্যে বর্ণিত কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়নও করেছেন। সরকারী কর্মচারীগণ প্রতি ৩ বছর অন্তর অন্তর ১৫ দিনের শ্রান্তি বিনোদন ছুটিসহ ১ মাসের মূল বেতনের সমপরিমান অর্থ ভাতা হিসেবে পেয়ে থাকেন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ১৯৯৯ সালে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা মঞ্জুর করা হলেও বিআরটিসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সূদীর্ঘ ২৪ বছরে কখনোই শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদান করা হয়নি। সম্মানিত চেয়ারম্যান মহোদয়ের যোগদানের পর হতে বিআরটিসি’র বাস-ট্রাক পরিচালনা, দক্ষ চালক প্রশিক্ষণসহ সার্বিক কর্মকান্ডে গতির সঞ্চার হয়ে অর্থনৈতিক ভিত্তি সুদৃঢ় হয়েছে। ফলশ্রুতিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতি মাসের ১ তারিখে নিয়মিত বেতন-ভাতা প্রদান নিশ্চিত করাসহ দায়িত্বশীল আচরণ ও কাজের প্রতি উৎসাহ যোগাতে বিআরটিসির কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকেও একজন সরকারী কর্মচারীর ন্যায় শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বিআরটিসি’র প্রধান কার্যালয় এবং ডিপো/ইউনিটের প্রথম ধাপে মোট ৩৭৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শ্রান্তি বিনোদন ভাতা বাবদ প্রায় ৬০(ষাট) লক্ষ টাকা প্রদান করা হয়েছে। শ্রান্তি বিনোদন ভাতা প্রাপ্য অবশিষ্ট সকল কর্মচারীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভাতা প্রদান করা হবে। কর্পোরেশনের প্রায় ২৬০০ (দুই হাজার ছয়শত) কর্মচারীকে ৪.৫০ (চার কোটি পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা প্রদানে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান মহোদয়ের সময়ে কর্মচারীদের কল্যাণার্থে ইহা একটি অনন্য অর্জন।