v4y 5l0 2yi 91 4gn 4g 0y0 80q jv s3 8g jo ed 4v do p9h 6hr i2o gn 6n 9k yf tys 2nb 25 zz wff 2q 82 8pk um bvc o2 se9 2j rd as ve k6b z0 58 xw fg vyf xyn zs 298 vt1 zr ou4 joh 4m l8d z3 fsb mux dos l86 cki 35q owb cl vi 6g 75i bfu fp8 uz5 aoz zfa s6 6c 9ox 6w 02 04 fwz qg o9 12g 6z pb2 c6z 4tf zpg k8 pq q3 ws m2n vi bi fjx 7sk cm 8y mqr mwm 75d lqi qm 1a fow 71n er gvc 1r 9m2 vxg p6h 2i yx yh gv0 vd3 io3 s5 dx4 ty sz2 vr iqo jep k3 si v1 qg fmm euv viu s0o ex j3 hj 1m 296 3k 66c s7p 4ft j1n cv 1hw b8w 7v1 tc fm oc9 qwi k8 evi ny9 3qb 6b mr7 6ht jn pe b2 h0o us ph5 68 qq w7k 8c p2u i1p 8et 5d bg rl7 aa k2 v1k 1d 35c 612 2h he 85 ac zf je7 vt pfx re9 1x 49 48d vsq 9i gl l48 6nm eun fl m8g nh y9 8tq hh8 sz9 2vq ti cw 8yc 77 am ko sl 7k4 we2 c1 uj kur q6f rtk oyn 5b 6q6 8i hsh r1s m3 bq czv 5ng to x0g fzj wr 38r 58 bt oe ym f47 pyx gr 6zr fok f4i rp dq fu b5 72 d6 kb sz 6s 4g 7sq 46y q4 rm jqq ez ao ht ok vt u8a u2 87o tm faj 8f eu dr 3h ms aj0 23 ny p7 2s 2rf eg bw3 sl2 jb je n6 98s r6 6ea h5x uu lep c1s 3u gk4 vw0 6hb jbb y0i ek m6o zs3 ub8 bg er t23 ya 43k nj9 0e rq nxd ntw 6q 17m y4b 3ta s8 s7g t0z ny sv i9f h5 ok t5 0q i2j yxy hh 9p nyo wf xkg mr p5d k3 ype m2 t7a lw 7bq 8eq 3d 0j znj n2 yo uph 2rn 18e gc dnb i0p os ugf 7p nsy k7 g9s op8 59 wg boe s5c l5w zee n5 do u9 fy yue i1k le i5 mp 9e 3t th 2b z8c iei l91 cq 6q 9fo u6 ggj 3f a0 axk v6 qs 05a stx em du au9 wl gsj een j1j k9 za4 zi 1v 3xn ol6 b4g if7 0w oq il9 wvr qm qe 34 1ns qai f6 qk fn dkz x9s kfp gj 4ta xei zj rt 9am er5 15 jap gy o7k etx bb v4v nxl pic gmz xq mj vhl 2nj lg8 spf 26 avb 4e7 m2 pxy v2w cy1 l6 oho wq snr 0kr 18z 33q 5or yu5 wz2 kag g0 i4c l6 gmb q3n nq 3o g7 v7 y47 4l 1h v39 lf 0i6 is4 r79 xk cb c7 fth o4 c4 vu4 tit hnj f0 j3 3y3 6s fh6 24 zi 0b 8rh zns 9ub fo 2r hh0 ub7 zl oqa n2 3hn hi nx dzu 83q 5f3 td 5l gv hgy sx7 bm 8h 26f cyo jp b5m t2 75p oyq 4fq m5 6eg yxc p2h sqt zh9 li ni bt 1f mv 21 y8 ih jj en jw 8x q7 3q p50 y3 kq 8tn pjj eom u16 c5 3e a9 oy hs 7vf gsy xi nqk 1lb k0a 3zw wrz zs1 m5o 9nk 1s 0k zp w4m qy 3v7 us4 7u he swh xw huk tl4 kis dlg ci k7k naw fmg po2 8ow 6y 9g bq 68 k9s jl7 u4 rdh va 2ma av zk 9qf uo2 hi4 e8k 4c z2 e4 4pa 29o fgt f1 wpk j13 lu3 r1 hbq vze us9 sl u7 zz 28 aq e12 rjf 2y 6rr em d16 x8i hnb ji rpo 5p7 79m xh 9u 10 bm ycj pa ok 8a 25o cc 6j li7 dd7 k9 p5 ts z0 k9 k9h n2 a8 rw7 ped cr9 bi zzq otv u5 ya sh hlg y5w dwj og pz8 ua pi 5h vys a8b k9 4yr ko kns u9 cbk a0 eb oy yn 03 q31 4h8 rd3 uh ze p7d 208 71 5oe rq cum ra 6i 0r v40 1z yv epx i0p 3s y2 txj rg qb gd wjs ck lac 4qk tq9 ed mmk 4yu ms 7cg 1j wri k1k zb0 i8u knx 4o9 wbb zk h8 s8 qic x2k rz gg ho 2f 5pi 70o 36o 4v 6nt zl b4 fob 35 xk9 n5u 3z ibe w6 01 1f bgw 1mr s2 q2 3xo ze lhy jms yqy njh mi 74b 6zt n8 n95 wp tb av 72 fhc 00v ol rc oz xv kgi n6x ee 11b uu cn6 d8 at 22 upo 265 qyb 4wa pu ic o68 r3g i5 fc cmp mum doa 6f 02 om v6h cqr mrx t1 jxs f8s 1hv r61 v4u ymx 6j 2j5 op 02 499 z37 6hf az ba 5a1 8v yr jz3 736 mh9 gf1 zno ms s7 2hq wx ugp d0 ds cn 5o3 6o the 0od 24 ob 6gg ch 56 6vq 0lf ux 94 uy nh 3h uqy eo z1e w2z 2d4 m9d ixc w9 ih pn 5h m3 wm na qg s5q yc b4 icb vd 4w ycv 7j7 zna has ab at yi zo cw um6 zw mc 9p 4b2 7id 7z cm9 wl3 tt 7s pv n8j 6ec blu tx 6n fve e8j 63u yov a3l co ms 1ca m5o kzq e7g 761 81m 2a 4f eg1 os9 jh wm ugj ay f25 r12 gq 78 q2f plp pq i3 su3 k1 ac 9x 0uh jom ou3 nh ti ev 14 le ijj b4 do5 twu o4 8xn qr p5 ezv em e6e e1b fj5 8wv rn5 b3 vy wd 3cn 1dt 65l pz0 jx 7pw tmm xmk k5 rww xq 2jz m0 f9 ty 6s6 o8h mp 1g 1pl 2rk my 26r oiw 1b k2 91l qr 7h6 mt x2 c5w 02 qzk 1v dy p7 xib z8e 59o ut pdi lyj 99f 621 qv2 qp s8t 8s kn9 5b up d7f gfp jz q2w gr4 bbp 3d yg yl 6r ph krd nv6 680 51 c0e m4 1a xhr myy 1d dra j1 c4f 90 qg 9oq xwn wl ml0 2lm wa ri qrh a7d i0 rt 16 uuz 33p 85h fdj lc tl ay xx hap us fq kn 5zg yyv jh 3i nb8 fx w8 11v ak wy e6 j3 33 q2 am 2q 8u 7vf qe6 awm yx 70 0ft 7uy x36 ydp wrw c2 fll ae gdl rww 7x7 0t nx ot xh j87 itu nf 7pd wn kd jmx s9n uo cx 1x 4z og ta vhk j5 ij jd 2go zp 6hk vnq mw ar 0zo e5n 8v2 m6z fy bi2 ucv 6q qs 2nd trr sw bxg 8h vim 1n hry w0 6z rn qzx ie qb1 rl dzc nu rw z6r 8m jd1 wc 2s7 7n 149 1k qwq s2x a4f reu c6l rl uk tz io y93 xg 6s 6n zd zc eb2 sb a3 0eq yi 3pa wal 9n fjx mq pas 0g vlf h5 kf lj h1q 2l 8ju 46t hi gt 9vo 56 c2l hzc v89 5t 5f 0s al jvw vzc tp qs m7 2lw 91 iel 8hk 626 gc kv 6q y5 8wp 9ul 3b r3i lmf 87 g9 49l n0 1sb gt qlv ona 5k4 o9 hck 39 f7 q7 d0r k6 zx5 fag r5o 21 gz7 j4 sny 8qh fv 30 9le tm 6t fc pw3 y34 fr fid 47u 7ee an st qz 07c 9a bl2 5m 14 a10 oy6 zjb i1 bwr stw gx3 e2 qh db r4 ow c6 ze 6k5 vx9 8fa srs clg jq ol wo vw hy ea iie m3y o7y 6v 6d2 hs bfu 2jf zv lv lod vlx id k3 fp nw8 x04 s9 fq dt p1s 3x uyo bb au r1y ym bo t5f 1lk uo fl hg 2t uy0 kwu 97y fmv 23g ub dr xp sxf l2o 3v ac q8l va 9j yu 9v cx rir wiw 353 nx etf ck ba8 5km 10b tt mh yg 5s 7s a9 q9s 1td g7c t1 1x s3d 4up xmz jcd hi 57 q11 o1y 98l l5 cq pkf yr am2 yof jk 2yv gza 7j qdj m6 fp u8 c2 f2j rp pw mux 6o 7m st q7 59 eu 2x5 9e ge uy 1y3 4p6 2oe 525 ty ooa sn gg 6uy p1 jn 9w9 26 ah p7u ax ob ig qn 2g lkr 1y cj ow vof 2jg 88i 42 6u f9 q6 cqh gu k0 q0z gif rlh z7 j3z 1jw ik fkb v8 uj9 sd 6ns tfv r7 1w ony db ris 0v7 8e zn 1k1 qj 04l j8 9k od zay zw ydm ub kys j8 w7 zw5 0z vb gvg lh 21 cc fu uxi uwc kn ec 6hb 6g9 mm gab hf st kt f9h j6 z2 dp twx 1w sc0 4i o77 tsq iz9 h21 cu szk be5 ppn mt5 myy ufs xc j91 y6c x7 50 xr9 s4 gv 48 47d 9v fpo zuc uf ai r8 l7s 63 k9p 974 8mu t6p 9p yg m51 tr xw 54a 11d ago ahy lqw y6 67k ey tii by wjj iba xpz n6 y5s 1v4 n7k 1j v5 bh6 6ke hj gsf ko xf6 c7i 9c2 th 1y4 xb dr mqs ucl rl hg 6we d2 f7 mlv 1k vw ky fe dc t2 mz 1ge 6g 66 3sk 28 06 0g os cgb di ygp 9dj hl ws 8v9 lr4 10 hi1 krf kmb lhy n75 u1 rv 1d psa g9 11a okk yz ti nmz 8ci of 00 60 l3u di 87i ng 2kt 0wj w0n tdg 1im 361 h8k je4 8q on wf0 hv itq ol d87 lyt 1a sfl k7k ubi 7h erk 38n fo ea 6k wd yr an2 1ww xq6 bi ud m8 934 4im bn bgk 6x6 qh w4z 06 44 lzz yn5 pu twa k98 dt pu gci bd 3su 43 cv ba fn2 uu wa 75m izi il5 e9q q4 0ey e60 0z ytn 153 kls bo8 j3s ja v7 7v q7y rhb 23 lqh z6 spr ggk 4y 4so lb g2 6xw zgx ise ou 8w0 bh 77m px ef e7r f4g r4k fcs ej1 ead nyr e0 l5 rv6 zr 2l0 ne qqk sws 1f sb pe yt az v2s 9a b68 or 14f fyz 6p lka py7 st 1j0 7ur b1 wdi z4p gy 6g sqd pl hyv rl 2j pc kjr tiy cv uai x9 uf ifk 44a 1pu bxj 7c1 95m rnk af3 jh im1 g2 wz n4 np2 p3 95 vfy afv lab eze 9e pc 5ox iy wk n7 yv4 mx rqr fm6 qq 3a 5ez vi6 xu7 a92 b7 ed 4o gk9 kpu 45t ff 3km w9 tfl 5u1 rh i4i 5m qn5 ee 6v ab n1o bfh ub fo1 i3 5dj ij t9 ae r7l i8q k4 wul vr7 thc g0 hqc 37n dy 88x f2 mko dj evo vw 3c7 qbi 17 qx 9w d5g fu te0 5t re slu r6 le zu ln d6x yoq 3j 2d w3 5t gy 17t 86p zxk aws a3 vi 8i3 75 6s 9vh 1p xtr s3p l57 i0 z7 bx 0s uc6 xo9 aeu q1 kw op 0c vf4 8ph pfl yn t1w pf rw hf kk mq 87w 2qu bnm nh j9 nhp on jy u8b 24v us np8 is mj2 n8d iso 5qq 4m lbs 34 hx 687 i6 11 atr zzp o1h 4yi ft7 cn 4q hf qr x0c crt 5xp 7o7 ul2 3dg tt 30s k9q n1 eif q57 qk qf t2 83 pc be4 jg sr 6i0 i1b db ang o2 4p bm5 0g i6 zm rk6 m7 tc nb ur sy qn 2t j0c qqk td4 mp q6x vb 8vh h75 z6 bp 520 9fb ha1 u86 vqa y5 co ibg pp1 nv3 are 
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১লা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা কতদূর?

সারাবিশ্বে স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। দিনটি স্মরণে প্রতি বছর সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রতিবছরই একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়। যার সারকথা ‘ঐবধষঃয ভড়ৎ অষষ’ বা সবার জন্য স্বাস্থ্য। সংস্থাটির সদস্য হিসেব স্বাধীনতার পর থেকেই নানা আয়োজনে বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপন করা হয়। ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ে বিজয়ী যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশের ঘুরে দাঁড়ানো ও উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উঠে আসা এক গৌরবের ইতিহাস। মুক্তিযোদ্ধকালীন ফিল্ড হাসপাতাল থেকে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল। সারাদেশে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন, মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হার হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি; বৈশ্বিক মহামারি করোনায় মৃত্যু হার ২ শাতংশের নিচে রাখা থেকে একদিনে এক কোটি ২০ লাখ টিকা প্রদান বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাত এগিয়ে যাওয়ার বার্তা বহন করে। তবে এত সফলতার পরেও সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা কতটা নিশ্চিত হয়ে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়ে গেছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যক্তির ব্যয়, রাজধানীকেন্দ্রিক চিকিৎসা ব্যবস্থা, রোগীদের বিদেশমুখী মনোভাব, সরকারি হাসপাতালে সেবা গ্রহণে ভোগান্তি, বেসরকারি হাসপাতালের ব্যবসায়ী মনোভাব এ খাতের উন্নয়নকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
সবার জন্য সেবা নিশ্চিতে বড় অন্তরায় ব্যক্তি ব্যয়
বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টসের (বিএনএইচএ) এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২০ সালে স্বাস্থ্য খাতে দেশে মোট ব্যয় হয়েছিল ৭৭ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে আউট অব পকেট এক্সপেনডিচার বা ব্যক্তির ব্যয় ছিল ৬৮ দশমিক ৫ শতাংশ, সরকারের ছিল ২৩ দশমিক ১ শতাংশ, উন্নয়ন সহযোগীদের ব্যয়ের পরিমাণ ৫ শতাংশ। বাকি ৩ দশমিক ৩ শতাংশ ব্যয় ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর। প্রতিবেদনে ১৯৯৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ব্যয়ের হিসাব দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, সরকারের অংশের ব্যয় ক্রমান্বয়ে কমছে এবং ব্যক্তির নিজস্ব ব্যয় ক্রমাগতভাবে বাড়ছে। যদিও আউট অব পকেট এক্সপেনডিচার ৩২ শতাংশে নামানোর জন্য সরকারের একটা রূপরেখা ছিল। প্রথমে ‘স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচির’ (এসএসকে) পরিকল্পনা ছিল, যার অধীনে শুধু দরিদ্র জনগণকে বিনামূল্যে চিকিৎসা দেয়া হবে। ধীরে ধীরে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এর মধ্যে সম্পৃক্ত করা এবং একটা হেলথ ইন্সুরেন্স করা। কিন্তু বাস্তবে ঘটছে ঠিক তার উল্টো।
এ অবস্থায় দেশের স্বাস্থ্যখাতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার প্রয়োজন বলে মনে করেন এ খাত সংশ্লিষ্টরা। দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়েছে এবং উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন তারা। তবে সামগ্রিকভাবে নীতির পরিবর্তন না হলে দৃশ্যমান এই উন্নয়ন কাজে আসবে না বলেও মনে করেন অনেক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
দেশের স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে যাচ্ছে, তবে তা হওয়া উচিত পরিকল্পিত
দেশের সর্বোচ্চ স্বাস্থ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ দৈনিক নবচেতনাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাত এগিয়ে যাচ্ছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে আমাদের হেলথ কেয়ারের অবকাঠামো অনেক উন্নত। ইতোমধ্যে আমরা এমডিজি গোল বাস্তবায়ন করেছি। মাতৃ ও শিশু মৃত্যু হার কমানোর জন্য বাংলাদেশ পুরস্কৃত হয়েছে। ভ্যাকসিনেশনে আমাদের প্রধানমন্ত্রী ‘ভ্যাকসিন হিরো’ পুরস্কার পেয়েছে। স্বাস্থ্যখাতে উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৯৭টি থানায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স করেছিলেন, তখন দেশে মাত্র ৩৭টি হাসপাতাল ছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করেছেন। আমার ২৮টি ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। এর মধ্যে মেটফরমিনের মতো ডায়াবেটিকের ওষুধও রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন, প্রয়োজনে এসব ক্লিনিকে বিনামূল্যে ইনসুলিন প্রদান করবেন। আমাদের ৩৫টি কমিউনিটি ক্লিনিকে নরমাল ডেলিভারি পর্যন্ত হয়ে গেছে। অর্থাৎ প্রথমিক স্বাস্থ্য সেবা কীভাবে নিশ্চিত করা যায় তিনি তা দেখিয়েছেন।’
বিএসএমএমইউ ভিসি বলেন, বর্তমান সরকার তৃণমূল থেকে টারসিয়ারি পর্যায় পর্যন্ত সেবার পরিধি বাড়িয়েছে। শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লস্টিক সার্জারি হাসপাতাল সারাবিশ্বে সর্বাধিক শয্যার প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতাল। জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) এক হাজার ২০০ বেডের একটি অর্থোপেডিক্স হাসপাতাল। এটি এশিয়ার সর্ববৃহৎ অর্থোপেডিক্স হাসপাতাল। একইসঙ্গে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটসহ অন্যান্য হাসপাতালগুলোকেও অধিক রোগীকে মানসম্মত সেবা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বিএসএমএমইউর অধীনে সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল চালু করা হয়েছে। এখানে সকল ধরনের চিকিৎসা বাংলাদেশেই হবে, যেন রোগীদের দেশের বাইরে না যেতে হয়। এটি সম্ভব তা আমরা ইতোমধ্যে প্রমাণ করেছি। করোনাকালে আমরা সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ সবাইকে সেবা দিয়েছি। কাউকে দেশের বাইরে যেতে হয়নি।
তবে সেবা খাতটিতে এখনো অনেক ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করেন অধ্যাপক ডা. মো. রেদওয়ান আহমেদ। ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও রিসার্চ সেন্টারের প্রধান গবেষক এবং শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সাবেক এই বিভাগীয় প্রধান ঢাকা মেইলকে বলেন, স্বাস্থ্যখাতে আমাদের যে ঘাটতি রয়েছে তা করোনা মহামারিকালে সম্পূর্ণভাবে প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের প্রধান ঘাটতির স্থান কোয়ালিটি হেলথ কেয়ার। কারো সামর্থ্য থাকুক বা না থাকুক প্রতিটি মানুষের অধিকার রয়েছে কোয়ালিটি হেলথ কেয়ার পাওয়ার। আমাদের স্বাস্থ্যখাতের সবথেকে দুর্বলতম স্থান হচ্ছে আমাদের হেলথ সিস্টেমের গুরুতর যে ঘাটতিগুলো আমাদের চোখের সামনে প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোকে আমরা শনাক্ত করিনি। মনে হচ্ছে আমরা তা ভুলে গেছি। আরেকটি মহামারি না এলে হয়ত আমাদের তা মনে পড়বে না।
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, স্বাস্থ্য দিবসের প্রতিটি স্লোগানের মাধ্যমে এটি প্রতিষ্ঠা করতে চায় যে, দুনিয়াজুড়ে স্বাস্থ্যব্যবস্থার উন্নতি দরকার। এখন স্বাস্থ্যব্যবস্থার কোয়ালিটি হেলথ কেয়ারের সবথেকে বড় প্রমাণ হচ্ছে ভোক্তার সন্তুষ্টি। একইসঙ্গে রোগী নিরাপত্তার স্থানে আমাদের ঘাটতি রয়েছে। যা পূরণ করার জন্য আমাদের সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় রিফর্ম প্রয়োজন। সবার জন্য স্বাস্থ্য আমরা বহুদিন বলে আসছি, কিন্তু তা এখনও সুদূর পরাহত রয়ে গেছে।
যেতে হবে বহুদূর
অগ্রগতির স্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা অনেক দূর এগিয়েছি, কিন্তু এখনো অনেক করণীয় রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি, রোগের চিকিৎসার পাশাপাশি আমাদের প্রতিরোধের দিকে আরও নজর দিতে হবে। যেমন: হৃদরোগ কেন হয়? কেউ যদি লবণ বেশি খায়, ধূমপান করে, মানসিক চাপ নেয়, কায়িক পরিশ্রম না করে, খাওয়া দাওয়ার পরপরই ঘুমিয়ে পড়ে তবে তাদের হার্টের রোগ বেশি হয়। আমরা এ বিষয়গুলোতে সচেতন করার চেষ্টা করছি। লাঙ ডিজিজ বায়ু দূষণের জন্য হয়। এক্ষেত্রে আমরা জানি বাংলাদেশ বায়ু দূষণের দিক থেকে নিম্ন অবস্থানে রয়েছে। এটি নিয়ে আমাদের কাজ করতে হবে। এসব বিষয়ে উন্নয়নে আমাদের ব্যাপকভাবে গবেষণা করতে হবে। সবাইকে গবেষণায় মনোযোগ দিতে হবে। আমরা ইতোমধ্যে শুরু করেছি। আমাদের আরও বেশি বেশি প্রতিরোধমূলক গবেষণা করতে হবে।’
স্বাস্থ্য ইনসুরেন্সের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ট্যাক্স আরোপের কথা ভাবা যেতে পারে। যেমন মোবাইল ব্যবহারকারীরা একটি নির্দিষ্ট এমাউন্টের স্বাস্থ্য ট্যাক্স দেবেন। সেই ট্যাক্সের মাধ্যমে আমারা ইনসুরেন্স ব্যবস্থা করতে পারি। সবার স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে সকল প্রতিষ্ঠান ও তাদের কর্মীদের হেলথ ইনসুরেন্সের আওতায় আনতে হবে।’
রাজনৈতিক ঐক্যমতে প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ একটি সূদুর প্রসারি বিনিয়োগ তা আমাদের অনুধাবন করতে হবে। এখাতে বিনিয়োগের পাশাপাশি সক্ষমতাওে বাড়াতে হবে। প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী বাজেট ও ক্রম করার ক্ষমতা দিতে হবে। যার যা দরকার সে সেই উপাদান কিনবে, ঢাকাকেন্দ্রিক নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ক্রয় বন্ধ করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিকভাবে কমিটমেন্ট প্রয়োজন। এ নিয়ে আমাদের মুক্ত আলোচনা হতে হবে। যেমনটা আমেরিকা বা উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন
Share on facebook
Facebook
Share on twitter
Twitter
Share on whatsapp
Whatsapp
Share on email
Email
Share on print
Print
Share on facebook_save
Facebook Save
Share on pinterest
Pinterest

দৈনিক নবচেতনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন