স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে খাগড়াছড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
রোববার জেলা অফিসার্স ক্লাব অডিটরিয়ামে “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন” শীর্ষক আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন আয়োজকরা। অনুষ্ঠানে ৬৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যকে উপহার ও ইফতার প্রদান করা হয়।
জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
আলোচনা সভায় পুলিশ সুপার মোঃ নাইমুল হক, পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী, ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শানে আলম, প্রাক্তন জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. রইস উদ্দিন, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সভাপতি জীতেন বড়ুয়া বক্তব্য রাখেন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব হচ্ছে ঐতিহাসিক নেতৃত্ব। তারই সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু চেয়েছিল সোনার বাংলা গড়তে। বঙ্গবন্ধু সেটা করে যেতে পারেনি। কিন্তু তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটা করেছেন। বর্তমানে তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্যও অনেক কিছু করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। তাই সত্যিকারে সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
সভায় জেলা প্রশাসনের সিনিয়র সহকারীকমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (রাজস্ব শাখা) মো. মনজুরুল আলম এর সঞ্চালনায় দিবসের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজ, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক মো: আব্দুস সালাম।
সংবর্ধিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে রইস উদ্দিন তাঁর বক্তৃতায় বলেন, শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পরে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান করেছে। অন্তত: মৃত্যুর আগ মূহুর্তে আমাদের জন্য কিছু করেছে। কিন্তু যেটার জন্য আমরা দেশ স্বাধীন করেছি, তা কি ঠিক আছে? এমনই প্রশ্ন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে মোঃ রইস উদ্দিন।