ঢাকা, শুক্রবার, ৩১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে: মির্জা ফখরুল

আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে সরে যেতে বাধ্য করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, তারা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। রাষ্ট্রকে এখন সংস্কার করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যেমন দেশকে স্বাধীন করা হয়েছে। দেশকে নতুনভাবে পরিচালনার জন্য আবার সংস্কার প্রয়োজন।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১০ দফার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন তিনি। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ প্রতিদিন শতশত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করে নিচ্ছে। ব্যাংকিং খাতকে লুট করে একেবারে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে টুকরো করে দিয়েছে। রিজার্ভ থেকে ৮শ কোটি টাকা লুট হয়ে গেছে।

তিনি আরও বলেন, যেখানে যাবেন সেখানেই দুর্নীতি। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আদালত, সবখানেই দুর্নীতি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বাদ যায়নি, সেখানেও ঘুষ দিতে হয়। একজন পিয়নের চাকরির জন্য লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। কারণ এই সরকার জনগণের সরকার নয়। তারা ভোট চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে। দেশের আদালত প্রাঙ্গণেও এই সরকার ভোট চুরির রূপ দেখিয়েছে।

ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মূলনীতি, টাকা পাচার আর দুর্নীতি। এমন কোনো জায়গা নেই, যেখানে দুর্নীতি হয়নি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় যেতে চায় না, জনগণের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। এই সরকার জনগণের আন্দোলনের সরে যেতে বাধ্য হবে।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান বলেন, আওয়ামী লীগের পরিচয় এখন ভোট চোর। আদালতেও তারা এখন ভোট চুরি করে। সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলে দিতে চাই আগামীতে আর ভোট চুরি করে ক্ষমতায় আসা যাবে না। সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আমরা নির্বাচনে যাবো না। আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে ফায়সালা করা হবে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, আওয়ামী লীগ এখন কোপা-কুপি লীগে পরিণত হয়েছে।

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইশরাক হোসেন বলেছেন, সরকার পরিকল্পনা করেছে, আসছে রমজানে আমাদের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করবে। ঈদের পর আমাদের মাঠে নামতে দেওয়া হবে না।

এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, চেয়ারপাসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন
Share on Facebook
Facebook
Tweet about this on Twitter
Twitter
Email this to someone
email
Print this page
Print
Pin on Pinterest
Pinterest

দৈনিক নবচেতনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন