ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ

ট্রাফিক পুলিশকে ম্যানেজ করেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অবৈধ যান

ঢাকা আরিচা মহা সড়কসহ আঞ্চলিক মহাসড়কে অবৈধ ইঞ্জিনচালিত নছিমন, করিমন, ট্রলি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মানিকগঞ্জে প্রশাসনের নাকের ডগায় অবাধে চলছে ভয়ঙ্কর মরণ ফাঁদ ইঞ্জিনচালিত এসব গাড়ি। সড়কে এসব যানের উপস্থিতিতে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে গণমানুষসহ বৈধ যানের স্বাভাবিক চলাফেরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ শহরের সব অলি গলিতে অবাধে চলছে ইঞ্জিনচালিত নছিমন, করিমন, ট্রলিসহ বিভিন্ন গাড়ির রুপ পরিবর্তন করা ঝুঁকিপূর্ণ অবৈধ গাড়ি। মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা দুধবাজার, খালপাড়, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিয়মিত প্রকাশ্যে এসব অবৈধ ইঞ্জিনচালিত যানবাহন চলাচল করলেও ট্রাফিক পুলিশ নিচ্ছে না কোন ব্যাবস্থা। বিশেষ করে মাহিন্দ্রা, নছিমন, করিমন, ভটভটি ও ভ্যানগাড়ি দিয়ে মাটি, গাছের গুঁড়ি ও ইটসহ বিভিন্ন মালামাল ও যাত্রী নিয়ে নিয়মিত চলাচল করছে শহরসহ সড়ক ও মহাসড়কে। এসব অবৈধ গাড়ির অদক্ষ চালকের কারণে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় সব ধরনের দুর্ঘটনা । এছাড়াও এসব অবৈধ যানবাহনের বিকট শব্দের কারণে হচ্ছে ভয়াবহ শব্দদূষণ। ফলে পথচারীসহ জনসাধারণকে সার্বক্ষণিক আতংকের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে।

জানা যায়, কৃষিকাজের জন্য ভর্তুকি দিয়ে বিদেশ থেকে ট্রাক্টর আমদানি করা হয় । আমদানিকারকরা অধিক মুনাফার আশায় এসব ট্রাক্টর বিক্রি করে ইটভাটার মালিক,মাটি ও বালু ব্যবসায়ী, কাঠ ব্যবসায়ী ও শিল্প মালিকসহ সাধারণ পরিবহন ব্যবসায়ীদের কাছে। ওইসব ব্যবসায়ীরা ট্রাক্টরের পিছনে ট্রলির বডি লাগিয়ে মহাসড়কে মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহার করছে। জেলায় অবৈধ এসব ট্রলি-ট্রাক্টরের সংখ্যা কত সে বিষয়ে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কারও কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে জেলাজুড়ে শত শত ট্রলি-ট্রাক্টর মহাসড়ক থেকে শুরু করে গ্রামের রাস্তাগুলোতে দাপিয়ে বেড়িয়ে নষ্ট করছে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সরকারি রাস্তা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড থেকে অবৈধ ট্রলি জেলার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে । ট্রাফিক পুলিশের সাথে যোগাযোগ রেখে এসব অবৈধ যান চলাচলে সহযোগিতা করে। এসব ট্রলি-ট্রাক্টর থেকে প্রত্যেকটির জন্য মালিকের কাছ থেকে ৫ শত থেকে ১ হাজার টাকা মাসোহারা আদায় করা হয় দালালদের মাধ্যমে। মাসোহারা না দিলেই আইন প্রয়োগ করা হয় তাদের উপর।

এ বিষয়ে জেলা ট্রাফিক ইন্সপেক্টর(টিআই) কে এম মিরাজ উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ কামরুল হাসান (সদর সার্কেল) বলেন, পুলিশ সুপার মহাদয়ের বলা আছে মানিকগঞ্জে কোন অবৈধ যান চলতে পারবে না। যদি ট্রাফিক পুলিশ দায়িত্ব অবহেলা করে থাকে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
Share on Facebook
Facebook
Tweet about this on Twitter
Twitter
Email this to someone
email
Print this page
Print
Pin on Pinterest
Pinterest

দৈনিক নবচেতনার ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করুন